ফিলিপাইনের চার সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশাধিকার পেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একটি বর্ধিত প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ হিসেবে এই অধিকার পেল মার্কিন সেনারা। সোমবার এই ঘাঁটিগুলোর অবস্থান জানা গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের আগ্রাসী অবস্থান নিয়ে উদ্বিঘ্ন ওয়াশিংটন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান লড়াইয়ের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করছে।
চারটি ঘাঁটির মধ্যে তিনটির অবস্থান তাইওয়ানের কাছাকাছি ফিলিপাইনের মূল দ্বীপ লুজনে ও একটি দক্ষিণ চীন সাগরের পালাওয়ান প্রদেশে। এগুলো হল- পালাওয়ানের বালাবাক দ্বীপের সান্তা আনা, কাগায়ান প্রদেশের নৌ ঘাঁটি ক্যামিলো ওসিয়াস, লাল-লো বিমানবন্দর ও ক্যাম্প মেলচোর ডেলা ক্রুজ।এর মধ্যে নৌ ঘাঁটি ক্যামিলো ওসিয়াস তাইওয়ানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর কাওশিউং থেকে মাত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা স্থাপনার কাছাকাছি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বালাবাক দ্বীপসহ সমগ্র ফিলিপাইনে মোট নয়টি ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক প্রবেশের অনুমতি পাবে। ২০১৪ সালের অ্যানহ্যান্সড ডিফেন্স কো-অপারেশন অ্যারেঞ্জমেন্ট (ইডিসিএ) চুক্তির অধীনে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার এক ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং বলেছেন, নতুন অবস্থানগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন সামরিক বাহিনীর পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদানকে শক্তিশালী করবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়সহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার অনুমতি দেবে।
ফিলিপাইনের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ভাগাভাগি ও জাপানি দ্বীপে নতুন মেরিন ইউনিট মোতায়েনেরও পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
চলতি বছরের শুরুতে ফিলিপাইনের পূর্বে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন দ্বীপ গুয়ামে একটি নতুন ঘাঁটি খুলেছে ইউএস মেরিন কর্পস। ক্যাম্প ব্লাজ নামে পরিচিত স্থানটি ৭০ বছরের মধ্যে প্রথম নতুন কোনো মেরিন ঘাঁটি। এখানে পাঁচ হাজার মেরিন সেনা অবস্থান নিতে পারে।
ফিলিপাইনে সম্প্রসারিত প্রবেশাধিকারের খবর গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু এতদিন ঘাঁটিগুলোর অবস্থান অজানা ছিল।
একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্লিটো গালভেজ জুনিয়র এ চার ঘাঁটিকে ‘খুব কৌশলগত’ বলে অভিহিত করেছেন, বিশেষ করে কাগায়ানে নৌ ঘাঁটি এবং বালাবাক দ্বীপের একটি। সূত্র: আল জাজিরা, সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/কালাম