১৯ মে, ২০২৩ ২২:১৫

জি-৭ শীর্ষ বৈঠকের টেবিলে কেন এবার ৮টি অতিরিক্ত চেয়ার

অনলাইন ডেস্ক

জি-৭ শীর্ষ বৈঠকের টেবিলে কেন এবার ৮টি অতিরিক্ত চেয়ার

জি-সেভেন বৈঠকটি যদি কোনো ডিনার পার্টি হতো তাহলে নিমন্ত্রণকর্তাকে অতিরিক্ত চেয়ার আর প্লেট-গ্লাস-চামচের জন্য দৌড়াতে হতো। তবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর এই জোটের এবছরের এই শীর্ষ বৈঠকের আয়োজক, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, বাড়তি অতিথির জন্য প্রস্তুত।

কারণ শুক্রবার থেকে হিরোশিমাতে শুরু হওয়া এই বৈঠকে তিনি নিজের পছন্দে জোটের বাইরের আটটি দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসেছেন।

পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে যে ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট এবং চীনের সাথে সম্পর্কের কৌশল নির্ধারণের মত জটিল ইস্যুগুলোতে বাকি বিশ্বকে পাশে রাখার প্রয়োজনীয়তা কতটা বোধ করছে জি-সেভেন জোট।

বিশ্ব ব্যবস্থা যে বদলে যাচ্ছে তাও বুঝতে অসুবিধা হয় না। কারণ, যে দুই দেশকে নিয়ে হিরোশিমার এই বৈঠক সরগরম থাকবে, সেই চীন ও রাশিয়া অতিথি তালিকায় অনুপস্থিত।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গণতান্ত্রিক সাতটি দেশ এই জোটের সদস্য-যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা ও জাপান। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় জি-সেভেন জোটের শীর্ষ বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠায়।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে আয়োজক দেশ বাইরে থেকে তাদের পছন্দমত ক'জন বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসে। কারণ জি-সেভেন জোটের অর্থনৈতিক শক্তি ক্রমাগত কমছে। ১৯৯০ সালে যেখানে বিশ্বের জিডিপিতে এই জোটের দেশগুলোর অবদান ছিল অর্ধেকেরও বেশি, এখন তা ৩০ শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে। ফলে তাদের এখন জোটের বাইরের প্রভাবশালী বন্ধু প্রয়োজন।

তাই কিশিদা-যিনি পশ্চিমা একটি কোয়ালিশনের চাইতে আন্তর্জাতিক একটি কোয়ালিশনের ব্যাপারে বেশি আগ্রহী-বৈঠকের টেবিলে বসার জন্য অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, কোমোরোস (আফ্রিকার ইউনিয়নের প্রতিনিধি) এবং কুক আইল্যান্ডসকে (প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতিনিধি) আমন্ত্রণ করে এনেছেন।

গত ১৮ মাসে কিশিদা ১৬ বার বিদেশ সফর করেছেন। ভারত, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে গেছেন। তাদেরকে বোঝাতে চেষ্টা করছেন চীন ও রাশিয়ার টাকা-পয়সা এবং প্রভাব-প্রতিপত্তির বিকল্প তাদের সামনে রয়েছে।

হিরোশিমায় তার আমন্ত্রিত অতিথিদের দিকে তাকালে বোঝা যায় কিশিদা এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার প্রভাবশালী দেশগুলোকে-যাদেরকে এখন ‘গ্লোবাল সাউথ’ নামে অবিহিত করা হয় এবং যারা চীন ও রাশিয়ার সাথে জটিল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক রেখে চলেছে-আস্থায় রাখার চেষ্টা করছেন, তাদের সাথে আরও ঘনিষ্ট হতে চাইছেন।

সূত্র : বিবিসি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর