২১ মে, ২০২৩ ১২:৪৫

মোখার এক সপ্তাহ পর রাখাইনে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি জান্তার

অনলাইন ডেস্ক

মোখার এক সপ্তাহ পর রাখাইনে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি জান্তার

ফাইল ছবি

জান্তা সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত আনার এক সপ্তাহ পর্যন্ত রাখাইনে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য দিতে পারেনি জাতিসংঘ। সাহায্য কর্মীদের প্রবেশে সৃষ্ট অচলাবস্থার শিথিল হতে শুরু করেছে এবার।  

জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ওসিএইচএ) হালনাগাদ তথ্যে জানায়, রাখাইন রাজ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো শুরু হয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে ওই এলাকায় বাসিন্দাদের জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও আশ্রয়ের প্রয়োজন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিস্থিতি অনেক নাজুক।

গত ১৪ মে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে মিয়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়ে মোখা, যা দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলো মধ্যে একটি।

জান্তারা শতাধিক নিহতের তথ্য স্বীকার করলেও মিয়ানমারের ছায়া সরকার ন্যাশনাল ইউনিটির মতে, চার শতাধিক নিহত হয়েছে মোখায়। তবে বন্যা, অবরুদ্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রবেশের অনুমতি না থাকায় প্রকৃত সংখ্যা ও  ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা কঠিন।

স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, সিত্তের জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যাওয়া বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক মানুষ। পানি সরে যাওয়ার পর ১১০টি মৃতদেহ গণনা করেছেন তিনি।

রাখাইনের রাজধানী সিত্তের বাসিন্দাদের মতে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে এখানকার শিবিরগুলোতে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের কক্সবাজারসহ পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে। তবে মিয়ানমারের সিত্তে অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ক্যাটাগরি ৫ ঝড়টি। পার্শ্ববর্তী চিন, সাগাইং ও ম্যাগওয়ে অঞ্চলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সূত্র :  সিএনএন ও দ্য গার্ডিয়ান 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর