গ্রিসের ভূমধ্যসাগরীয় পেলোপনিস অঞ্চলের উপকূলে অভিবাসীপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাডুবিতে অন্তত ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ভোরের দিকে নৌকাডুবির এই ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১০৪ জনকে।
গ্রিসের উপকূলরক্ষী বাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
লিবিয়ার তোবরুক বন্দর থেকে ইতালির দিকে যাচ্ছিল নৌকাটি। বিশালাকার নৌকাটিতে চার শ যাত্রী ছিল, ধারণা করা হচ্ছে। রাতে ঝড়োবাতাসে এটি গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলে পেলোপনিস উপকূল থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে ডুবে যায়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।গ্রিস ও আলবেনিয়াকে ইতালি এবং সিসিলি দ্বীপ থেকে পৃথককারী আয়োনিয়ান সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় বুধবার এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রবল বাতাসের কারণে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা জটিল হয়ে পড়েছে বলে গ্রিসের উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে।
দেশটির নৌ-বাহিনীর জাহাজের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর বিমান, উড়োজাহাজ এবং ওই এলাকায় থাকা ছয়টি নৌকা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
গ্রিসের উপকূলরক্ষী বাহিনী বলেছে, বুধবার ভোরের দিকে পেলোপনিস উপকূলের কাছে মাছ ধরার একটি বড় নৌকা ডুবে গেছে। ওই নৌকায় প্রচুরসংখ্যক যাত্রী ছিলেন। নৌকাডুবির এই ঘটনায় উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক পরিসরের উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নৌকাডুবিতে নিখোঁজদের উদ্ধারের পর কালামাতায় নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে উদ্ধারের পর হেলিকপ্টারে করে বন্দরের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী বলছে, ইউরোপের সীমান্ত ও উপকূলরক্ষী সংস্থা ফ্রন্টেক্সের একটি নজরদারি বিমান মঙ্গলবার বিকেলের দিকে নৌকাটিকে সাগরে ভাসতে দেখে। তবে নৌকার যাত্রীরা সহায়তার প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।
পরবর্তীতে ফ্রন্টেক্স জানায়, নৌকায় থাকা কেউই লাইফ জ্যাকেট পরেননি। নৌকায় ভাসতে থাকা অভিবাসীরা কোন দেশের নাগরিক, তাৎক্ষণিকভাবে তা প্রকাশ করেনি ইউরোপের এই সীমান্ত সংস্থা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা লিবিয়ার তোবরুক বন্দর থেকে যাত্রা শুরুর পর ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির দিকে যাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বুধবার গ্রিসের বন্দর পুলিশ বলেছে, ক্রিট উপকূল থেকে প্রায় ৮০ জন অভিবাসীকে নিয়ে ভাসতে থাকা একটি পালতোলা নৌকা উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ডের টহল দল।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত