দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় উচ্চ গতিসম্পন্ন প্রথম ট্রেন চালু হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো সোমবার এর উদ্বোধন করেন। এতে অর্থায়ন করেছে চীন।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই ট্রেনলাইন চালু হওয়ার ফলে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ দুটি শহরের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি হলো এবং যোগাযোগ সহজ হলো।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিলম্ব হয় এবং তাতে এর খরচ বেড়ে যায়। এর বাণিজ্যিক সুবিধা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কিছু পর্যবেক্ষক। কিন্তু তা উপেক্ষা করে ১৪২ কিলোমিটারের এই রেললাইন সম্পন্ন করেছেন প্রেসিডেন্ট উইডোডো। রবিবার পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে অপারেশন চালানোর লাইসেন্স ইস্যু করা হয়।৭৩০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে বেশির ভাগ বিনিয়োগ চীনের। নির্মাণ করেছে পিটি কেরেটা সেপাত ইন্দোনেশিয়া-চায়না।
সংক্ষেপে এটি পিটি কেসিআইসি নামে পরিচিত। এটি একটি যৌথ উদ্যোগ। এতে যুক্ত আছে ইন্দোনেশিয়ার চারটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানি ও চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড। এই রেললাইন রাজধানী জাকার্তাকে যুক্ত করেছে বান্দুং-এর সঙ্গে। বান্দুং হলো পশ্চিম জাভা প্রদেশের জনবহুল রাজধানী। বর্তমানে এই দুটি শহরের মধ্যে চলাচলে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। কিন্তু রেল চলাচল শুরু হওয়ার ফলে সেই সময় প্রায় ৪০ মিনিটে নেমে এসেছে। এতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বিদ্যুৎ। ফলে এ প্রকল্প কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই রেলপথের উদ্বোধন করে প্রেসিডেন্ট উইডোডো বলেন, এটি ইন্দোনেশিয়ার প্রথম উচ্চ গতিসম্পন্ন রেলওয়ে। একইসঙ্গে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায়ও প্রথম উচ্চগতির রেল। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/আজাদ