গাজায় স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী চার দিন এই বিরতি বহাল থাকবে। তবে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা আগে, গাজার কিছু অংশে ভারী আর্টিলারি বোমাবর্ষণ, ট্যাংক ফায়ার ও সেনা অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল, যা গত সাত সপ্তাহের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের (ইউএনওসিএইচএ) প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কর্তৃক ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে মনোনীত দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফাহ শহরেও ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো।জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি হল- ২৩ নভেম্বর স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে জাবালিয়ার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান আঘাত হানে। এতে ২৭ জন নিহত এবং আরও ৯৩ জন আহত হয়।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইউএনওসিএইচএ আরও উল্লেখ করে-
*যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে দক্ষিণ গাজা থেকে উত্তর গাজায় নিজেদের বাড়িতে ফেরার চেষ্টাকারী ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে একজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে।
*ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে।
*বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার বিকালের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৪ বছর বয়সী একজন শিশুসহ আরও দুজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনের সংখ্যা ২১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক চতুর্থাংশেরও বেশি শিশু।
*গাজায় স্থল আক্রমণের পর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭৫ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/আজাদ