নবনির্মিত ফাতাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মন্তব্যের জবাব দিল ইরান।
সম্প্রতি এই তিন দেশ ফাতাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র যৌথ বিবৃতি দেয়। তাদের বিবৃতিকে ‘বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, ইউরোপীয় ট্রয়িকা নামে পরিচিত এই তিন দেশ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছে তার আইনগত কোনও ভিত্তি নেই।তিনি বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যে বিধিনিষেধ ছিল তা ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা অনুযায়ী গত ১৮ অক্টোবর শেষ হয়ে গেছে। কাজেই তিন ইউরোপীয় দেশ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে যে অভিযোগ করেছে তা অগ্রহণযোগ্য এবং বেআইনি।
ইরান গত ১৯ নভেম্বর তার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ফাতাহ-২ –এর মোড়ক উন্মোচন করে। গত ৩০ নভেম্বর, জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন ইরানের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করে নিজের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি শক্তিশালী করছে ইরান।
ইরানের পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী ওই তিন দেশ মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বে ‘অস্থিতিশীলতা’ সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করার জন্যও তেহরানকে অভিযুক্ত করে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে না পারে সেজন্য এসব দেশ প্রতিটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এ সম্পর্কে কানয়ানি আরও বলেন, ইরান আত্মরক্ষার স্বার্থে আন্তর্জাতিক আইন মেনে প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি শক্তিশালী করেছে। কাজেই এ নিয়ে কারও কিছু বলার অধিকার নেই। তিনি এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করে ইরানের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্ক নস্যাৎ না করার জন্য ওই তিন দেশের প্রতি আহ্বান জানান। সূত্র: প্রেসটিভি
বিডি প্রতিদিন/আজাদ