ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম'এর প্রভাবে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ু ও অন্ধপ্রদেশ। ইতিমধ্যে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২ জনের। আহত বেশ কয়েকজন, তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকা বাপতলা এলাকায় আছড়ে পড়ে (ল্যান্ডফল) এই ঘূর্ণিঝড়। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। টানা তিন ঘণ্টা ধরে চলে এই ল্যান্ডফল। এর ফলে রাজ্যটির একাধিক জায়গায় ঝড়ো হাওয়া এবং টানা বৃষ্টি চলছে।
প্রায় সাড়ে নয় হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় ৫০টি বিমান এবং ১০০ টি ট্রেনের যাত্রাপথ বাতিল করা হয়েছে।উদ্ধার এবং ত্রাণকার্য বাবদ ২২ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম'এর প্রভাবে গত রবিবার থেকে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই শহরসহ আশপাশের এলাকা গুলিতে অবিরাম বৃষ্টি হয়। সেই সাথে ছিল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। ঝড়ের প্রভাবে একাধিক জায়গায় গাছ, টেলিফোন ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা বাড়ি ও কুঁড়েঘর। চেন্নাই সহ একাধিক জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, কোথাও কোথাও প্রায় বুক সমান পানি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে পুডুচেরি রাজ্যেও। এই রাজ্যটির উপকূলবর্তী এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সেখানকার নাগরিকদের চলাফেরায় বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
সোমবারই তামিলনাড়ু, অন্ধপ্রদেশ এবং পুডুচেরির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সমস্ত ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আগাম সতর্কতা হিসেবে তৈরি রয়েছে উড়িষ্যা রাজ্য সরকার। সরকারের নির্দেশে দক্ষিণের জেলাগুলিতে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যটির উপকূলবর্তী এবং দক্ষিণের জেলাগুলির জেলাশাসকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ওড়িশা রাজ্য সরকার।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গেও মঙ্গলবার সারাদিন ধরে মেঘলা আকাশ বজায় ছিল। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল