১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৩:০১

সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের ছেলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

অনলাইন ডেস্ক

সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের ছেলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ। ফাইল ছবি

সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের ছেলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক।

ইস্তাম্বুল শহরে এক সড়ক দুর্ঘটনার জেরে এই পদক্ষেপন নিল দেশটি। ওই দুর্ঘটনায় এক কুরিয়ার কর্মী নিহত হন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের ছেলে মোহাম্মদ হাসান শেখ মোহামুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক। তিনি ইস্তাম্বুলে মোটরসাইকেল আরোহী এক কুরিয়ারকর্মীকে গাড়িচাপা দিয়েছিলেন।

আহত সেই কুরিয়ারকর্মী পরে মারা যান। পুলিশের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুলে প্রকাশ্য দিবালোকে মোহাম্মদ হাসান শেখ মোহামুদ ওই কুরিয়ারকর্মীকে ধাক্কা দেন। পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনার সময় তিনি যে গাড়ি চালাচ্ছিলেন সেটি ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সোমালি কনস্যুলেটের।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তুরস্ক মোহাম্মদ হাসান শেখের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে কর্মকর্তারা মনে করেন, তিনি ইতোমধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

এদিকে আগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোলু গত ৩০ নভেম্বরের ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ শেয়ার করেছেন। ওই ফুটেজে শহরের ব্যস্ত মাল্টি-লেন রাস্তার মোড়ে মোটরসাইকেলের পেছনে একটি গাড়িকে ধাক্কা দিতে দেখা যায়।

দুর্ঘটনার পর মোটরসাইকেল চালক দুই সন্তানের বাবা ইউনুস এমরে গোকারকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় দিন পরে মারা যান ৩৮ বছর বয়সী ওই কুরিয়ার কর্মী।

নিহত গোকারের আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রাথমিক পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছিল- দুর্ঘটনায় গোকারের দোষ ছিল এবং এই কারণে মোহামুদকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু নিরাপত্তা ফুটেজের পর্যালোচনায় দেখা গেছে দুর্ঘটনার অন্য ব্যাখ্যাও থাকতে পারে।

অবশ্য সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদের ছেলে মোহাম্মদ হাসান শেখ মোহামুদ এই ঘটনায় কোনও মন্তব্য করেননি। পরে গত শুক্রবার তুর্কি প্রসিকিউটর মোহাম্মদ হাসান শেখের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পুলিশ তার খোঁজে তার বাড়িতে যায়। তবে দেখা যায়, তিনি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেখানে নেই। এরপরই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সূত্র: বিবিসি, এএফপি

বিডি প্রতিদিন/আজাদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর