১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:৩৩

মিশরে আবারও প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন সিসি

অনলাইন ডেস্ক

মিশরে আবারও প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন সিসি

আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি

প্রতিবেশী ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যেই মিশরে শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রবিবার থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এই তিন দিন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন মিশরীয়রা। ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর। এবারের নির্বাচনেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

চলতি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৬ কোটি ৭০ লাখ। আগের দুই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। ফলে এবার ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে সিসি সরকার। সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোয় বলা হচ্ছে, এ নির্বাচন রাজনৈতিক বহুত্ববাদের দিকে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ।

যদিও সমালোচকরা বলছেন, প্রায় দশক ধরে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর ধরপাকড় চালানোর পর এটি একটি ‘সাজানো’ নির্বাচন।

এবারের নির্বাচনে সিসির বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। তাদের কেউই খুব বেশি পরিচিত নন। তারা হলেন- বামপন্থী মিশরীয় সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা ফরিদ জাহরান, শতাব্দী প্রাচীন কিন্তু অপেক্ষাকৃত প্রান্তিক দল ওয়াপদের নেতা আবদুল সানাদ ইয়ামামা এবং রিপাবলিকান পিপলস পার্টির হাজেম ওমর।

সিসির বিরুদ্ধে লড়াই করার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে যিনি ছিলেন, গত অক্টোবরে তিনি নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, দুর্বৃত্ত ও কর্মকর্তারা তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তবে মিশরের জাতীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি অস্বীকার করেছে।

দীর্ঘ সময় থেকে অর্থনৈতিক সংকটে আছে মিশর। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির পাশাপাশি দেশটি রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মুখে পড়েছে। তৃতীয় মেয়াদে সিসি আবারও ক্ষমতায় ফিরলে সমস্যা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাকে এসব সমস্যার সমাধানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এছাড়া সীমান্তবর্তী গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের প্রভাব যেন মিশরে ছড়িয়ে না পড়ে, তাও নিশ্চিত করতে হবে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে মিশর সরকার। তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করে জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। তবে দেশটির জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই বলে জানা গেছে। অনেকে বলছেন, ভোটে তেমন কোনও পরিবর্তন আসবে না।

মিশরে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন সিসি। পরের বছর ৯৭ শতাংশ ভোট নিয়ে সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর থেকে সিসির নেতৃত্বাধীন সরকার ধরপাকড় চালাতে থাকে। কারাবন্দি করা হয় কয়েক হাজার মানুষকে। ২০১৮ সালে সিসি ৯৭ শতাংশ ভোট নিয়ে পুনর্নির্বাচিত হন। আবারও তৃতীয় মেয়াদে শাসন ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন তিনি। সূত্র: আরব নিউজ, রয়টার্স

বিডি প্রতিদিন/আজাদ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর