১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:৫৮

লাইভ চলাকালে টেলিভিশন স্টুডিওতে হামলা

অনলাইন ডেস্ক

লাইভ চলাকালে টেলিভিশন স্টুডিওতে হামলা

সংগৃহীত ছবি

ইকুয়েডরে একটি টেলিভিশনে লাই। সম্প্রচার চলাকালে স্টুডিওতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে কয়েকজন বন্দুকধারী। এ সময় ওই অনুষ্ঠানের কর্মীদের মেঝেতে শুয়ে ও বসে পড়তে বাধ্য করে তারা। শোনা যায়, গুলির শব্দও। একপর্যায়ে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইকুয়েডরে রাষ্ট্রীয় এক প্রজ্ঞাপনে অন্তত ২২টি গ্যাংকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশটি। তাদের বিরুদ্ধে সামরিক হুলিয়াও জারি করেছে দেশটি। এতে ইকুয়েডরে বৃদ্ধি পেয়েছে দৈনন্দিন সহিংসতার খবর। সরকারি এমন প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই দেশটির একটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে তাদের স্টুডিওতে ঢুকে অরাজকতা সৃষ্টি করেন কয়েকজন বন্দুকধারী। এই ঘটনায় ১৩ বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

দেশটির গুয়াইকিল শহরে টিসি নামের ওই টেলিভিশন স্টেশনে রুদ্ধশ্বাস এ ঘটনা ঘটে। এক দুর্ধর্ষ অপরাধী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারির পরদিন এমন ঘটনা ঘটল।

প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশ সদস্যদের ওই স্টুডিওতে ঢুকতে দেখা যায়। এ সময় একজনকে বলতে শোনা যায়, তাদের এক সহকর্মী আহত হয়েছেন। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই টেলিভিশন স্টেশন থেকে কর্মীদের সরিয়ে আনা হয়েছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির দুর্ধর্ষ মাদক চক্র লস ক্রোনেরসের হোতা হোসে অ্যাডলফো মাসিয়াস গত রবিবার কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। ৪৪ বছর বয়সী মাসিয়াস ‘ফিতো’ নামেও পরিচিত। মাদকপাচার, খুন-সহ সংঘবদ্ধ অপরাধের দায়ে ৩৪ বছরের সাজা হয়েছে তার।

পরদিনই মাদক চক্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়ে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট দানিয়েল নোবোয়া। এছাড়া ঘোষণা করা হয় রাত্রিকালীন কারফিউ। জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর অন্তত সাতজন পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করেছে সংঘবদ্ধ মাদকপাচার গোষ্ঠী। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় ওই সংঘবদ্ধ চক্রটি। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন, এনবিসি, এপি

বিডি প্রতিদিন/আজাদ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর