অনৈসলামিক বিয়ের অভিযোগ নিয়ে দায়ের মামলা নিয়ে মুখ খুললেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তিনি বলেছেন, অনৈসলামিক বিয়ের দায়ে তাকে যে মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে; সেই মামলা করা হয়েছে মূলত তাকে ‘অপমান’ করার জন্য।”
এছাড়া এর মাধ্যমে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ হাসিল করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।শনিবার আদিয়ালা জেলের ভেতর স্থাপিত পাকিস্তানের একটি বিচারিক আদালত ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
রবিবার আদিয়ালা জেলে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান খান। সেখানে তিনি এমন দাবি করেন।
ইমরান খান বলেছেন, এসব অভিযোগ এনে তাকে থামানো যাবে না এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে তিনি কোনও ধরনের সমঝোতা করবেন না।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বলেছে, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি শরীয়াহ বিরোধী এবং পাকিস্তানের পারিবারিক আইন ও বিয়ের ওপর একটি ‘নিন্দনীয় হামলা’। ৎ
এছাড়া এটিকে ব্যক্তিগত বিষয়ের ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবেও অভিহিত করেছে দলটি।
বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকা এই মামলা করেন। তিনি দাবি করেন, ইমরানকে অনৈসলামিক উপায়ে বিয়ে করেছেন বুশরা। ইমরানের সঙ্গে বুশরার অবৈধ বিয়ে হয়েছে। কারণ তার সঙ্গে যখন বুশরার ডিভোর্স হয়— তখন আল্লাহর বিধান অনুযায়ী, অন্তত তিন মাস পর আরেকজনকে তিনি বিয়ে করতে পারতেন। কিন্তু আল্লাহর বিধান না মেনে ইদ্দত চলার সময় (নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার আগে) তিনি ইমরানের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।
তবে বুশরা বিবি রবিবার জানিয়েছেন, খাওয়ার মানেকা ২০১৭ সালে তাকে মৌখিকভাবে ডিভোর্স দেন। এছাড়া তাদের ডিভোর্সের কাগজে যে তারিখ উল্লেখ করা আছে; সেটি ভুয়া বলে দাবি করেন তিনি। সূত্র: ডন
বিডি প্রতিদিন/আজাদ