গাজায় ‘গণহত্যা’র প্রতিবাদে নিজ শরীরে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেওয়া সেই মার্কিন সেনা অ্যারন বুশনেলকে নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া জানাল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এ ঘটনা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিজের গায়ে আগুন দিয়ে মার্কিন বিমানবাহিনীর যে সদস্য মারা গেছেন, তিনি তার যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদের জন্য ‘অমর’ হয়ে থাকবেন।
সংগঠন আরও জানিয়েছে, এই ঘটনা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকান জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের একটি বহিঃপ্রকাশ। অ্যারন বুশনেল ফিলিস্তিন জনগণ ও তাদের ন্যায়সংগত অধিকারের প্রতি বৈশ্বিক মানবিক সংহতির চেতনার প্রতীক।
এর আগে,গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা এবং এই ‘গণহত্যা’য় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রতিবাদ হিসেবে দেশটির দূতাবাসের সামনে গত রবিবার নিজ শরীরে আগুন দেন মার্কিন সেনা অ্যারন বুশনেল। আগুন দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ২৫ বছর বয়সী মার্কিন বিমানবাহিনীর এই সদস্য।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই লোকের গায়ে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বুশনেল নিজেই ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গায়ে আগুন দেওয়ার আগে তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আমি আর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকব না, থাকতে চাই না।’ পরে তিনি নিজের গায়ে তরল জ্বালানি ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। গায়ে আগুন ধরে যাওয়ার পরও বুশনেল চিৎকার করে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বা ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই’ বলছিলেন।
সূত্র : দ্য নিউ আরব ও আনাদোলু এজেন্সি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক