প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে রেল লাইনে ঝাঁপ। আর তখনই সেইসব যাত্রীকে চাপা দিয়ে চলে গেল উল্টো দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রেন। আর তাতেই প্রাণ গেল বেশ কয়েকজন যাত্রীর। আহত হয়েছেন একাধিক যাত্রী। যাদের মধ্যে কিছু যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত বা আহতের সংখ্যা নিয়ে এখনো পর্যন্ত রেলের তরফে সরকারিভাবে কোনো তথ্যই জানানো হয়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১২। আহত অর্ধশতাধিক।
বুধবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জামতারা এলাকার কালাঝারিয়া রেল স্টেশনে।
প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যার দিকে অঙ্গ এক্সপ্রেস যখন কালাঝারিয়া রেল স্টেশনের কাছে পৌঁছায়, তখন ওই গাড়ির চালক দূর থেকে রেললাইন থেকে ধুলো উড়তে দেখেন। ড্রাইভারের সন্দেহ হয় লাইন থেকে আগুনের ধোয়া নির্গত হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ট্রেন থামাতে বাধ্য হন চালক। আর সেই আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই অঙ্গ এক্সপ্রেস থেকে পাশের লাইনে ঝাঁপ দিতে থাকেন যাত্রীরা।এরই মধ্যে উল্টো দিকে ওই লাইনে চলে আসে ঝাঁজা-আসানসোল ইলেকট্রিক ট্রেন। আর তখনই অঙ্গ এক্সপ্রেস'এর তলায় চাপা পড়ে একাধিক যাত্রী। তাতেই ঘটে এই হতাহতের ঘটনা।
জানা গেছে, ডাউন লাইন দিয়ে অঙ্গ এক্সপ্রেসটি ভাগলপুর থেকে যশবন্তপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। আপ লাইন দিয়ে অপর ট্রেনটি আসানসোল থেকে বৈদ্যনাথধাম যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও রেলের কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সও। শুরু হয় উদ্ধার কাজ, যদিও আলোর অভাবে শুরুতে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে লাশগুলোও উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের 'জুনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ গ্রেড' (জেএজি) কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ