চীনের সামরিক ‘অনুপ্রবেশ’ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান-বিধ্বংসী কামান মোতায়েনের মাধ্যমে বিমান প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়েছে তাইওয়ান। দেশটির বিমান বাহিনী বলেছে, তারা সকাল ৫টা ও ৭টার (২১.০০-২৩.০০ জিএমটি সোমবার) মধ্যে মহড়া চালিয়েছে। এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল এই দ্বীপের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি স্কাই বো ও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং সেনা ও নৌবাহিনীর একাধিক দল।
এই মহড়া মসৃণভাবে সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তাইওয়ানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সামরিক বাহিনীর তিনটি শাখার মধ্যে যৌথ বিমান প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের কম্যান্ড ও নিয়ন্ত্রণ যাচাই করাই ছিল উদ্দেশ্য। তাইওয়ানের সংলগ্ন আকাশ ও জলসীমায় পিএলএ-র বিমান ও জাহাজের বারবার অনুপ্রবেশের আবহে বিমান বাহিনী সম্ভাব্য হুমকির পাল্টা জবাব দিতে প্রশিক্ষণের তীব্রতা ও মাত্রা বাড়িয়ে যাবে।
চীনের দাবি নাকচতাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন এই দ্বীপের উপর চীনের দাবিকে নাকচ করেছেন। এর ফলে ২০১৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেইজিং-এর সঙ্গে সমস্ত উচ্চ-পর্যায়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আট বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়েছেন, সামরিক অস্ত্র অর্জন করেছেন এবং সাবমেরিন ও জাহাজের মতো তাইওয়ান-নির্মিত সরঞ্জামের উন্নতি ঘটিয়েছেন।
সাই এক ভাষণে বলেছেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমরা দৃঢ়ভাবে একটি স্বতন্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি।’ তাইপেইয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘চীনের ১৩টি বিমান ও সাতটি জাহাজ (মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানের আশেপাশে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে, তাইওয়ান ২৪ ঘন্টায় দ্বীপের চারধারে চীনের ৩৬টি বিমান চিহ্নিত করেছিল। চলতি বছরে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক