নিউইয়র্কে এক প্রতারণা মামলায় ৪৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ হারানো থেকে বাঁচতে ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বন্ড দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার এই অর্থ জমা দেন ট্রাম্প। ফলে আপিল চলাকালীন সময়ে তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন তিনি।
বন্ডের কারণে নিউইয়র্কের এটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস সুদসহ ৩৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা কয়েকমাস ধরে চলা শুনানির পর বিচারক ট্রাম্পের কাছ থেকে আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা আদায় করা সম্ভব হবে না।গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক আপিল আদালত সাবেক প্রেসিডেন্টকে এই অর্থ দেওয়ার জন্য ১০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। তার আগে গত মাসে অবশ্য বিচারকদের একটি প্যানেল ট্রাম্পকে ৪৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বন্ড দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
ট্রাম্পের আইনজীবী আলিনা হাবা এই বিষয়ে বলেন, ‘যেমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বন্ড দিয়েছেন। তিনি তার আপিলের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে অন্যায্য রায় বদলানোর আশায় আছেন।’
বন্ড দেওয়ায় আপাতত ট্রাম্পের সম্পদ রক্ষা পেল। এই সম্পদের মধ্যে রয়েছে তার ট্রাম্প টাওয়ার, ওয়েস্টচেস্টারে ৩৭০ একরের রিসোর্ট ও গল্ফ কোর্স এবং ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো।
গত ফেব্রুয়ারিতে বিচারকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতারণার উদ্দেশ্যে বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে নিজের সম্পদ বাড়তি দেখানোর মাধ্যমে ট্রাম্প তার সম্পদ নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন।
গত মাসে আরেক মামলায় ৯১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বন্ড দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই মামলায় বিচারকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে ট্রাম্প গত শতকের নব্বইয়ের দশকে লেখিকা ই. জিন ক্যারলকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন এবং ২০১৯ সালে তিনি যখন এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন তখন তাকে অপমান করেন ট্রাম্প। অবশ্য ট্রাম্প এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সূত্র : রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত