ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে নানা রাজ্যে। আর শুরুর দিনেই সংঘাতে জড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা।
এবার পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে তিনটি আসন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারপুরে ভোট নেয়া হচ্ছে।
ভোটগ্রহণের আগের রাতেই কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের চান্দামারিতে তৃণমূলের হামলার শিকার হওয়ার দাবি করেন বিজেপি নেতা লব সরকার। অভিযোগ, মারধর করে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।আহত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মী কোচবিহারের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূলের দাবি, শুক্রবার সকালের সংঘর্ষে তাদেরও এক কর্মী আহত হয়েছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, সকাল থেকেই তাদের বুথ এজেন্টদের বসতে বাধা দেয় বিজেপি। বাধা দিতে গেলে নাকি মারধর করে বিজেপির সমর্থকরা।কোচবিহারের নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বলরামপুর এলাকার ২৩৬ নম্বর বুথ দখল করে রেখেছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগই করেছে স্থানীয় বিজেপি। তাদের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীসমর্থকেরা সকাল থেকে বুথ দখল করার জন্য জমায়েত করেছিলেন। অভিযোগ মানেনি তৃণমূল।
এদিকে শীতলকুচির গোঁসাইহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় ধাপের চত্রা এলাকায় এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই বিজেপি কর্মীকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জানা যায়, ওই বিজেপি কর্মীর নাম সুরেন্দ্র বর্মণ। অভিযোগ, এ দিন তিনি বড় ধাপের চত্রা এলাকায় ২০১ নং বুথে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা। শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় ২৮৬ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন বলে খবর।
৩ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে ১৫১টি অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। জানা গেছে রাজ্যটির তিন কেন্দ্রে স্থানীয় সময় সকাল ১১টা পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল