কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর দাবি করলেও মুসলিম অধ্যুষিত ওই অঞ্চলে লোকসভা নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি কাশ্মীরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। সেখানকার তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে স্থানীয় দুইটি রাজনৈতিক দল-ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)।
স্থানীয় এই শক্তিশালী দল দুইটি একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও উভয় দলই বলছে-তারা হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির বিরোধী। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে তারাও জোট করবে বলে জানিয়েছে দল দুইটির নেতারা।
কেবল হিন্দু-অধ্যুষিত জম্মুর দুই আসনে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে। অনেক রাজনৈতিক বোদ্ধার দাবি, কাশ্মীরে প্রার্থী দিলে বড় পরাজয় দেখতে হতো বিজেপিকে।বিজেপির নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে চার শতাধিক আসনে জয় পাবে বলে প্রচারণা চালিয়েছে। ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্যেই তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা রদ করে, তাদের পৃথক সংবিধান বাতিল করে মোদি সরকার। কাশ্মীরকে নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় শাসনের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন মোদি। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যটি দুইটি ফেডারেল শাসিত এলাকায় ভাগ হয়ে যায়। একটি হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর উপত্যকা। আরেকটি বৌদ্ধ অধ্যুষিত লাদাখ।
২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি কাশ্মীরের তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তবে সবগুলোতেই আবদুল্লাহর ন্যাশনাল কনফারেন্সের কাছে হেরেছিল। এ বছর বিজেপি জম্মুতে দুইটি ও লাদাখে একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মূলত কাশ্মীরকে বিভক্ত করার কারণেই ওই আসনগুলোতে জিতেছিল বিজেপি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল