ইউক্রেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এলাকায় হঠাৎ করে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া।
শুক্রবার ভোর থেকে এ অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা। অভিযানে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত নয়টি গ্রাম দখল করেছে রুশ বাহিনী। সেখানকার সম্মুখভাগের পরিস্থিতিকে নাজুক হিসেবে অভিহিত করেছে ইউক্রেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক প্রধান স্বীকার করেছেন যে তার বাহিনী খারকিভের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। সেখানে রুশ বাহিনী অগ্রসর হওয়ার কারণে আরও হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।আলেকজান্ডার সিরস্কি রবিবার টেলিগ্রামে লেখেন, এ সপ্তাহে খারকিভ অঞ্চলের পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে। রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধ করছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার আক্রমণকারীরা কিছু এলাকায় আংশিক সাফল্য অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিরক্ষামূলক লাইন এবং অবস্থান ধরে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
রাশিয়ার তীব্র আক্রমণের মুখে একটি ইউক্রেনীয় ইউনিটকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে ইউক্রেন।
খারকিভ আঞ্চলিক পুলিশের প্রধান ভলোদিমির টাইমোশকো বলেছেন, রুশ বাহিনী শহরের উপকণ্ঠে ছিল এবং তিন দিক থেকে এগিয়ে আসছে তারা। টিমোশকো আরও বলেন, শহরের দিকে যাওয়ার প্রধান রাস্তার পাশে রাশিয়ার একটি ট্যাংক দেখা গেছে।
শুক্রবার মস্কোর বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে অন্তত ৪ হাজার বেসামরিক লোক খারকিভ অঞ্চল ছেড়ে চলে গেছে।
গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, রবিবার উত্তর-পূর্ব ফ্রন্ট লাইনে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়েছে। সেখানে রাশিয়ান বাহিনী ২৪ ঘণ্টায় ২৭টি বসতিতে আক্রমণ করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী শনিবার পাঁচটি গ্রাম এবং রবিবার সীমান্তের চারটি গ্রাম দখল করেছে। গতিশীল লড়াই এবং ক্রমাগত ভারী গোলাবর্ষণের কারণে এ অঞ্চলগুলো সম্ভবত দুর্বলভাবে সুরক্ষিত ছিল যা রাশিয়ার অগ্রগতি সহজ করে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, প্রতিশ্রুত পশ্চিমা সরবরাহ প্রথম লাইনে পৌঁছানোর আগে গোলাবারুদের ঘাটতিকে কাজে লাগিয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেনীয় সৈন্যরা জানায়, ক্রেমলিন তাদের সৈন্য এবং ফায়ার পাওয়ার নিঃশেষ করতে অসম পরিমাণ আগুন এবং পদাতিক আক্রমণ শুরু করে স্বাভাবিক রুশ কৌশল ব্যবহার করছে। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ