২২ মে, ২০২৪ ০৯:৪৪

প্রথমবারের মতো পারমাণবিক মহড়া শুরু করেছে রুশ বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক

প্রথমবারের মতো পারমাণবিক মহড়া শুরু করেছে রুশ বাহিনী

পারমাণবিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া

রুশ বাহিনী প্রথমবারের মতো পারমাণবিক মহড়া শুরু করেছে। এই মহড়ায় রয়েছে ‘অ-কৌশলগত ‘পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত ও ব্যবহার’-এর ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ’।

মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ মাসের শুরুতে এ মহড়ার নির্দেশ দেন। মস্কো এগুলোকে রাশিয়ার জন্য নিরাপত্তা হুমকির সঙ্গে যুক্ত করেছে। পশ্চিমা কর্মকর্তারা পুতিনের পারমাণবিক হুমকিকে ‘যুদ্ধাংদেহি বিবৃতি’ বলে অভিহিত করেছেন। 

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁন ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মন্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ‘পশ্চিমা’ হুমকির জবাবে ইউক্রেনের নিকটবর্তী অঞ্চলে পরমাণু সামরিক মহড়া শুরু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁন ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ইউরোপীয় সেনা পাঠানোর সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। আর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য লন্ডনের সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহার করার অধিকার ইউক্রেনের রয়েছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধে পশ্চিমাদের আরও গভীরে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পুতিনের একটি সতর্কতা সংকেত হিসাবে এই মহড়াটি নকশা করা হয়েছে। পশ্চিমারা কিয়েভকে অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছে তবে সেনা পাঠানো থেকে বিরত রয়েছে।

রুশ মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা কর্মকর্তাদের উস্কানিমূলক বিবৃতি ও হুমকির জবাবে রুশ রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নিঃশর্তভাবে নিশ্চিত করার জন্য অ-কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের যুদ্ধ ব্যবহারের জন্য ইউনিট ও সরঞ্জাম যে প্রস্তুত রয়েছে, তা নিশ্চিত করাই এই মহড়ার লক্ষ্য।

ইউক্রেন সংলগ্ন রাশিয়ার সাউদার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করা অঞ্চলেও মহড়া চলছে।

 রাশিয়া গত বছর বলেছিল, বেলারুশ পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। সেই বেলারুশও মহড়ায় অংশ নেবে। 

কৌশলগত বা অ-কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রগুলি পুরো শত্রু শহর নিশ্চিহ্ন করার জন্য নকশা করা। কিন্তু কৌশলগত অস্ত্রের চেয়ে অকৌশলগত অস্ত্র কম শক্তিশালী। তবুও এগুলোর বিশাল ধ্বংসাত্মক সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র : আল আরাবিয়া 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর