১ জুন, ২০২৪ ১৫:১৬

সিকিম-ডোকলাম সীমান্তে বিমানঘাঁটিতে জে-২০ ফাইটার মোতায়েন করলো চীন

অনলাইন ডেস্ক

সিকিম-ডোকলাম সীমান্তে বিমানঘাঁটিতে জে-২০ ফাইটার মোতায়েন করলো চীন

সিকিম-ডোকলাম সীমান্তের সবচেয়ে কাছের বিমানঘাঁটিতে জে-২০ স্টিলথ ফাইটার মোতায়েন করেছে চীন। স্যাটেলাইট থেকে নেওয়া ছবিতে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাৎসেতে অবস্থিত বিমানবন্দরে চীনা বিমানবাহিনীর জে-২০ স্টিলথ ফাইটারের উপস্থিতি দেখা গেছে।

বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চট বিমানবন্দরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৪০৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। বিমানবন্দরটি সামরিক এবং বেসামরিক দুই ভাবেই ব্যবহার উপযোগী।  

জে-২০ স্টিলথ ফাইটার হচ্ছে এখন পর্যন্ত চীনের তৈরি সবচেয়ে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান যা মাইটি ড্রাগন নামেও পরিচিত। ন্যাটোর এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রকল্প থেকে চুরি করা প্রযুক্তি জ্ঞান চীনারা এই ফাইটার জেটে কাজে লাগিয়েছে বলে ধারণা করা হয়।     

শিগাৎসেতের এলাকাটি চীনের বিমানবাহিনীর স্বাভাবিক অপারেশন এলাকার বাইরে এবং ভারতীয় সীমান্তের ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। বিমানবন্দরটিতে একটি কেজে-৫০০ এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং এবং কন্ট্রোল এয়ারক্রাফটও চোখে পড়েছে।

চীনের জে-২০ যুদ্ধবিমানের মোকাবিলায় ভারত ফ্রান্সে নির্মিত ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কিনেছে যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারাতে ১৬টি রাফায়েল মোতায়েন আছে।

আটটি ভারতীয় রাফায়েল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর (ইউএসএএফ) সঙ্গে বিমান যুদ্ধ অনুশীলনের জন্য আলাস্কায় রয়েছে। খবর এনডিটিভি

ভারত, ভুটান আর চীন এই তিনটি দেশের সীমান্তে অবস্থিত একটি সরু মালভূমি ডোকলাম। সিকিম সীমান্তের এই এলাকা ভারত ও ভুটান, দুই দেশই ভূটানের অংশ হিসেবে দাবি করে। তবে ১৯৬২-র ভারত-চীন যুদ্ধের পর থেকেই চীন দাবি করে আসছে, ডোকলাম তাদের এলাকা। ২০১৭ সালে তারা ওই অঞ্চলে একটি রাস্তা তৈরির কাজ চালাচ্ছিল ভুটান সেনাবাহিনী সেই কাজে বাঁধা দেয় এবং ভারতের সাহায্য চায়। এর দুদিন পর ভারতীয় বাহিনী অস্ত্র আর বুলডোজার নিয়ে সেখানে হাজির হলে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে বাধে।

এই এলাকাটি কৌশলগত অঞ্চল হিসেবে ভারট-চীন উভয়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশটির বাকি অংশের যোগাযোগ যে ‘শিলিগুড়ি করিডোর’ বা ‘চিকেন নেক’-এর ওপর নির্ভরশীল, তার কাছাকাছি চীনা সেনাবাহিনীর অবস্থান ভারতের জন্য অস্বস্তিকর। এমন পরিস্থিতে ডোকলামের সবচেয়ে কাছে বিমান ঘাটিতে চীনের শক্তি বৃদ্ধি নতুন সংঘতের বার্তা দিচ্ছে কিনা ভবিষ্যতই বলে দেবে। সূত্র: আনাদুল এজেন্সি

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর