৫ জুন, ২০২৪ ১১:৩০

ভারতে এবার কিংমেকার নীতিশ-নাইডু

অনলাইন ডেস্ক

ভারতে এবার কিংমেকার নীতিশ-নাইডু

নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি কট্টর হিন্দুত্ববাদ আর তথাকথিত ‘মোদি ম্যাজিক’ কাজে লাগিয়ে টানা এক দশক ভারতে একদলীয় শাসন চর্চা করে আসছে। তবে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফলে এবারে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে মোদির দল। 

২০১৯ সালে বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩০৩ আসন। এবার মোদির জোট পেয়েছে ২৯২টি আসন। ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন যেখানে সরকার গঠানে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। 

এই অবস্থায় সরকার গঠনে হাত নরেন্দ্র মোদিকে জোটের শরিকদের সঙ্গে হাত মেলাতে হবে। বিজেপির ভরসা চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম ও নীতিশ কুমারের জেডিইউর ওপর। অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম জিতেছে ১৬ আসনে। অন্যদিকে, বিহারের জেডিইউ এর ঝুলিতে আছে ১২ আসন। টিডিপি ও জেডিইউ’র সম্মিলিত আসন ২৮। 

জোট সঙ্গীদের নিয়ে সরকার গঠনে মরিয়া বিজেপি শিবির, চলছে দফায় দফায় ফোনালাপ ও আলোচনা। 

বিজেপির এই জোট শরিকদের বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটও। আর এ কাজের দায়িত্ব পড়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে। 

জানা গেছে, নীতিশ কুমারকে উপপ্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স। বলা হচ্ছে, বিজেপির চেয়ে কংগ্রেসের কাছ থেকে বেশি সুযোগ সুবিধার নিশ্চয়তা পেলে ভোল পাল্টাতে পারেন প্রবীণ দুই রাজনীতিবিদ। অতীতে তাদের সঙ্গী বদলের নজির রয়েছে।

শরিকদের ওপর নির্ভর বা তাদের ভরসায় রাজ্য বা কেন্দ্রে কোথাও সরকার চালানোয় অভ্যস্ত নন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মোদিকে শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে। এই ব্যবস্থায় তিনি কতটা খাপ খাওয়াতে পারবেন, তা দেখার অপেক্ষা।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর