৫ জুন, ২০২৪ ১৮:২০

কেন মোদিকে নামাতে ইনডিয়া জোটে আসা উচিত নাইডুর, জানালেন উদ্ভব ঠাকরে

অনলাইন ডেস্ক

কেন মোদিকে নামাতে ইনডিয়া জোটে আসা উচিত নাইডুর, জানালেন উদ্ভব ঠাকরে

উদ্ভব ঠাকরে

মঙ্গলবার ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। দলটি জিতেছে ২৪০ আসনে। এককভাবে সরকার গঠনে দরকার ২৭২ আসন। তবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৩ আসন পেয়েছে। বিপরীতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইনডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৩ আসন।

ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটের চেয়ে পিছিয়ে থাকা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট  ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইনডিয়া) জোটও সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছে। জোটের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা এবং মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে এই তথ্য জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে এনডিএ জোটের শরিক চন্দ্রবাবু নাইডুকে দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে কয়েক মাস আগে যে হয়রানি করা হয়েছিল, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে উদ্ভব ঠাকরে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি আশা করছেন নাইডু এনডিএ জোট ছেড়ে ইনডিয়া জোটে আসবেন।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে উদ্ভব বলেন, “যেদিন থেকে আমাদের ইনডিয়া জোট গঠিত হল, সেদিনই আমরা জোটশরিকরা এ ব্যাপারে একমত হয়েছিলাম যে আমরা সবাই দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্র দূর করতে চাই এবং দেশের সংবিধান রক্ষা করতে চাই। বিজেপির দ্বারা যেসব রাজনৈতিক দল হয়রানির শিকার হয়েছেন, তারা সবাই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। চন্দ্রবাবু নাইডুও বিজেপি সরকারের হাতে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।”

মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে একসময় তার দল শিব সেনাকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটেই ছিলেন। মহারাষ্ট্রে ভারতের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট লোকসভার আসন রয়েছে ৪৮টি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই ৪৮টি আসনের ৪১টিতেই জিতেছিল বিজেপি-শিবসেনা জোট।

তবে দুই দলের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর। ওই নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কে হবে— তা নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। এর জেরে দুই ভাগ হয়ে যায় শিব সেনা। উদ্ভব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন দলটির নাম এখন শিব সেনা (ইউবিটি)। অন্য অংশটির নেতৃত্বে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।

শিব সেনা (ইউবিটি) ইনডিয়া জোটে থাকলেও শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিব সেনা এখনও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটেই রয়েছে।

তবে মহারাষ্ট্রের বৃহত্তম এই দলটির বিভক্তি বেশ প্রভাব পড়েছে এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে যেখানে মহারাষ্ট্রে ৪১টি আসন পেয়েছিল এনডিএ জোট, এবার সেখানে পেয়েছে মাত্র ১৭টি।

রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, মহারাষ্ট্রের মতো শক্ত ঘাঁটিতে বিজেপির এই ফলাফল পুরোপুরি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং হতাশাজনক। কারণ এবারের নির্বাচনে রাজ্যের ৪৫টি আসনে জয়ের আশা করেছিল দলটি।

বাকি আসনগুলোতে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস ও ইনডিয়া জোটভুক্ত দলগুলো। কংগ্রেস পেয়েছে ১৩টি আসন। উদ্ভব ঠাকরের দল ইউবিটি পেয়েছে ৬টি আসন।

উদ্ভব ঠাকরের ছেলে এবং শিব সেনা ইউবিটির নেতা আদিত্য ঠাকরে বলেন, “ভারতে যেসব রাজ্যে ইনডিয়া জোটের ফলাফল সবচেয়ে ভাল, মহারাষ্ট্র সেসবের মধ্যে অন্যতম। এই নির্বাচনে আমরা দেখিয়েছি যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ, অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক কোনো শক্তির স্থান ভারতবর্ষে নেই।” সূত্র: এনডিটিভি

বিডি প্রতিদিন/একেএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর