গত শনিবার গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ প্রাণঘাতী অভিযানের মাধ্যমে চার জিম্মিকে উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই অভিযানের কারণে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী উভয় পক্ষই যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর।
নুসেইরাতের ওই হামলায় ইসরায়েলি বাহিনীর সম্ভাব্য নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দফতরের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স।
অভিযানে নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৭৪ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।লরেন্স বলেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জিম্মিদের আটকে রাখার মাধ্যমে আশপাশের বেসামরিক নাগরিক ও বন্দীদের‘বাড়তি ঝুঁকিতে’ ফেলছে।
জেনেভায় জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, “উভয়পক্ষের এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।”
লরেন্স বলেন, “এটি ছিল বিপর্যয়কর, যেভাবে আকস্মিক ও তীব্র সহিংস অবস্থার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকরা আটকা পড়ে গিয়েছে।”
বন্দীরা ও তাদের পরিবার যে ‘অগ্নিপরীক্ষার’ মুখোমুখি হয়েছে সে বিষয়টি তুলে ধরে লরেন্স বলেন, চারজন বন্দী এখন মুক্ত, এটা নিঃসন্দেহে খুব ভালো খবর। এই বন্দীদের কখনওই ব্যবহার করা উচিত ছিল না, যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন। যত শিগগিরই সম্ভব হয় তাদের মুক্তি দিতে হবে। সূত্র: রয়টার্স, মিডিল ইস্ট মনিটর
বিডি প্রতিদিন/একেএ