১২ জুন, ২০২৪ ১৬:৩৩

নাড্ডার পর বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে?

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

নাড্ডার পর বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোদির প্রথম মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন নাড্ডা। 

'এক ব্যক্তি এক পদ'- দলের এই নীতি অনুসরণ করে তাকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ ছাড়তে হবে। সে ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়ার পর এবার বিজেপির সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। 

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর বিজেপির কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নাড্ডা। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পাকাপাকি ভাবে বিজেপির বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন জেপি নাড্ডা। তার কার্যকালের মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। কিন্তু লোকসভা ভোটের কারণে সভাপতি পদে তার মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়। কিন্তু এবার কে? 

নাড্ডার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে এর আগে মনোহরলাল খাট্টার এবং শিবরাজ সিং চৌহান এর নাম শোনা গিয়েছিল। কিন্তু রবিবার তারা উভয়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছেন। এই আবহে বিজেপির পরবর্তী সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে এগিয়ে রয়েছেন অনুরাগ ঠাকুর। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন অনুরাগ। এনিয়ে পরপর পাঁচবার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া সত্বেও মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি অনুরাগের। বিজেপির যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে এই পদের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'উন্নত ভারত' গঠনের যে স্লোগান সে লক্ষ্য পূরণে একজন বিজেপি কর্মী হিসেবে কাজ করে যাবার অঙ্গীকার করেছেন অনুরাগ। 

এই তালিকায় রয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা বিনোদ তাওড়ে। বর্তমানে বিহারের দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তাওড়ে। 'অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ' (এবিভিপি) সংগঠন থেকে উঠে আসা তাওড়ে মৃদুভাষী হিসাবে খ্যাত। চলতি বছরের শেষেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে তাওড়েকে দলের সভাপতি করলে ভালো বার্তা দেওয়া যাবে বলে মনে করে অনেকেই। 

বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সাবেক প্রচারক সুনীল বনশালও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে সম্ভাব্য প্রার্থী। অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ ও আরএসএস'এর গুডবুকে থাকা বনশাল সম্প্রতি শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কল সেন্টার পরিচালনা করা, ফিডব্যাক সংগ্রহ, তৃণমূল স্তরে দলীয়কর্মীদের অনুপ্রাণিত করার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। 

দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে থাকা বি.এল সন্তোষ এর নামও সভাপতি পদের তালিকায় চর্চিত হচ্ছে। 

রাজস্থানের বিজেপি নেতা ওম মাথুরের নামও উঠে আসছে সভাপতি পদে। প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে পরিচিত মাথুর সাম্প্রতিকালে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য রেখেছেন। এর মধ্যে অন্যতম ২০১৪ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশ নির্বাচন এবং ২০২৩ সালে ছত্রিশগড় বিধানসভা নির্বাচন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় থেকেই মাথুরের সাংগঠনিক দক্ষতার উপর নির্ভরশীল ছিলেন মোদি। 

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে ভাসছে বিজেপি নেতা ও মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফরনাবীশের নামও।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর