শিরোনাম
১২ জুন, ২০২৪ ১৯:১৩

ছেলের ‘মিথ্যাচার’ বাইডেনের প্রচারণায় প্রভাব ফেলবে কি?

অনলাইন ডেস্ক

ছেলের ‘মিথ্যাচার’ বাইডেনের প্রচারণায় প্রভাব ফেলবে কি?

বাবা জো বাইডেনর সঙ্গে হান্টার বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন ২০১৮ সালে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার আদালতে অভিযুক্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন কোনও প্রেসিডেন্টের সন্তানের অভিযুক্ত হওয়ার এটিই প্রথম ঘটনা।

পয়েন্ট ৩৮ ক্যালিবার রিভলভার কেনার সময় হান্টার বাইডেনকে যে ফরম পূরণ করতে হয়েছিল সেখানে তিনি লিখেছিলেন, তিনি মাদকাসক্ত নন। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগও আনা হয়েছিল।

৫৪ বছর বয়সি হান্টার বাইডেন নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ওই সময়টায় তিনি মাদকাসক্তি থেকে বের হয়ে আসার পথে ছিলেন বলে দাবি করেছেন।

তবে ১২ সদস্যের জুরি মঙ্গলবার হান্টার বাইডেনকে অভিযুক্ত করেছেন। ফলে তার সর্বোচ্চ ২৫ বছরের শাস্তি হতে পারে। অবশ্য প্রথমবার অভিযুক্ত হওয়ায় সেটি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শাস্তির বিষয়ে রায় দেওয়া হবে।

ছেলে অভিযুক্ত হওয়ার পর তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এক বিবৃতিতে তিনি ছেলের প্রতি ‘ভালোবাসা ও সমর্থন’ জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রেসিডেন্ট, কিন্তু আমি একজন বাবাও।”

হান্টার বাইডেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রথম স্ত্রীর সন্তান। তার প্রথম স্ত্রী ১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। ঐ দুর্ঘটনায় হান্টার বাইডেন ও তার ভাই বৌ বাইডেন বেঁচে গেলেও তাদের বোন মারা যায়।

২০১৫ সালে বৌ বাইডেন মস্তিষ্কের ক্যান্সারে মারা যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন, আর হান্টার বাইডেন মাদক ও অ্যালকোহলের দিকে ঝুঁকেছিলেন।

ব্যবসার নথিপত্র গোপন করার দায়ে দুই সপ্তাহ আগে অভিযুক্ত হয়েছেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের প্রতিপক্ষ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এবং চীন ও ইউক্রেনের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক চুক্তি বিষয়ে বিতর্ক তৈরি করে রিপাবলিকানরা অনেকদিন ধরেই জো বাইডেনকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিল।

মঙ্গলবার হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে রায়ের পরও ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দল বাইডেন পরিবারকে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। ট্রাম্প নিজেও ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বিতর্কের সময় হান্টার বাইডেনকে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে ভোটারদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্পভ কিন্তু এতে উল্টো জো বাইডেনের লাভ হয়েছিল। কারণ, তিনি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, এমন একজন ছেলের বাবা হয়ে তিনি গর্বিত যে আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে।

প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুলিয়ান জেলিজার মনে করছেন, মঙ্গলবারের রায়টি হান্টার বাইডেনকে নিয়ে হলেও ট্রাম্প এর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে জড়ানোর চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, নিজের বিরুদ্ধে রায়ের পর ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থায় রাজনীতিকরণের অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু হান্টার বাইডেনের মামলা প্রমাণ করছে, মার্কিন বিচারব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর আছে।

বারাক ওবামার সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করা স্ট্র্যাটেজিস্ট ডেভিড অ্যাক্সেলরড গণমাধ্যমকে বলেছেন, “আমার মনে হয় না ছেলের আসক্তি ও তার কর্মকাণ্ডের জন্য ভোটাররা জো বাইডেনকে দায়ী করবেন।” সূত্র: এএফপি, এপি, ডয়েচে ভেলে

বিডি প্রতিদিন/একেএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর