গাজার সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাস যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিকল্পনায় উত্থাপিত নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। রবিবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হামাসের কাতারভিত্তিক নেতা ইসমাইল হানিয়া এ কথা বলেন।
ফিলিস্তিনি বন্দীদের জন্য ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে হানিয়া বলেন, হামাস এবং (ফিলিস্তিনি) গোষ্ঠীগুলি একটি বিস্তৃত চুক্তির জন্য প্রস্তুত। যার মধ্যে যুদ্ধবিরতি, উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, ধ্বংস হওয়া অবকাঠামোর পুনর্নির্মাণ এবং একটি বিস্তৃত বন্দী বিনিময় চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গত ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনার পাশাপাশি ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের পর্যায়ক্রমে বিনিময়ের একটি ‘তিন পর্যায়ের’ প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন।যুক্তরাষ্ট্র ও হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী মিশর ও কাতার ১১ জুন বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার বিষয়ে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের ব্যাপক কড়াকড়িতে আল-আকসায় ফিলিস্তিনিরা ঈদ উদযাপন করেছে।
খবর অনুসারে, পবিত্র ঈদুল আজহায় আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। ব্যাপক তল্লাশির পর ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারেন অনেকে।
জেরুজালেম ইসলামিক ওয়াক্ফ জানায়, আজ আল-আকসায় ৪০ হাজারের বেশি মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
ওয়াফা সংবাদমাধ্যমের খবর, কড়াকড়ির পরও আল-আকসায় হাজারো মুসল্লি পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। আসা-যাওয়ার পথে অনেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিগ্রহের শিকার হয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল