২৩ জুন, ২০২৪ ০০:২৯

তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে চীনের নতুন শাস্তি নীতি

অনলাইন ডেস্ক

তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে চীনের নতুন শাস্তি নীতি

চীন তাইওয়ানের স্বাধীনতার কট্টর সমর্থকদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি বিচারিক নির্দেশিকায় যুক্ত করেছে। ফৌজদারি অপরাধের গুরুতর মামলায় এ শাস্তি প্রযোজ্য হবে। শুক্রবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

বেইজিং গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের কথাও বলেছে। সম্প্রতি তাইপের ওপর চাপ বাড়িয়েছে বেইজিং, সামরিক মহড়াও করেছে চীন। গত মাসে তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে লাই চিং তে দায়িত্ব নেওয়ার সময় সর্বশেষ সামরিক মহড়া করে বেইজিং।

সিনহুয়া জানিয়েছে, বেইজিংয়ের নির্দেশিকায় তাইওয়ানের স্বাধীনতার কট্টর সমর্থকদের শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার প্রচেষ্টায় মূল ভূমিকা নেওয়া এবং রাষ্ট্র ও জনগণের মারাত্মক ক্ষতি করার জন্য এ শাস্তি দেওয়া হবে। যারা স্বাধীনতার পক্ষে ওকালতি করবেন, তাদের ১০ বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

এ নির্দেশনার পর তাইপে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের দাবি, তাইওয়ানের ওপর কোনো আইনি এখতিয়ার রাখে না বেইজিং। এছাড়া, বেইজিংয়ের নিয়ম মানা তাইওয়ানের জনগণের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।

তাইওয়ানের মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, বেইজিংয়ের পদক্ষেপ তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে সংঘাত বাড়াতে উসকানি হিসেবে কাজ করবে। এটি বেইজিং ও তাইওয়ানের সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নয়নের জন্য সহায়ক নয়।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিপলস ডেইলি জানায়, শুক্রবার বেইজিংয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সান পিং এ নির্দেশিকার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ নির্দেশনার অর্থ অভিযুক্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর আইনি পদক্ষেপের ধারালো খড়্গ সব সময় উঁচুতে ঝুলবে। সান আরও বলেন, এ নিয়ম তাইওয়ানের সব জনগণকে লক্ষ্য করে নয়, কেবল তাইওয়ানের স্বাধীনতা নিয়ে ওকালতি করা অল্প কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদীকে লক্ষ্য করে জারি করা হয়েছে।

গত ২০ মে তাইওয়ানের ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির সদস্য লাই ক্ষমতায় আসেন। তিনি তাইওয়ান নিয়ে তার পূর্বসূরি সাই ইং ওয়েনের অবস্থানের পক্ষে অবিচল রয়েছেন। সাই মনে করতেন, তাইওয়ান ইতিমধ্যেই কার্যকরভাবে স্বাধীন, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রয়োজন নেই। বেইজিং লাইকে বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাইপের সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকে শীর্ষ স্তরের কোনো যোগাযোগ রাখেনি বেইজিং।

চীনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত তাইওয়ান প্রণালি যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানের নজরদারিতে রাখা হয়। গত মাসেই তাইওয়ান ঘিরে "জয়েন্ট সোর্ড-২০২৪এ" নামের একটি তিন দিনের মহড়া করেছে বেইজিং। তাদের দাবি, এ মহড়া ছিল দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ দখলের ক্ষমতার একটি পরীক্ষা। সূত্র :  গার্ডিয়ান

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর