২৭ জুন, ২০২৪ ১৬:৪২

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রক্ষণশীলদের প্রাধান্য

অনলাইন ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রক্ষণশীলদের প্রাধান্য

আগামী শুক্রবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে

ইরানে গত মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে বুধবার ছয় প্রার্থীর একজন, ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজিজাদেহ হাশেমি, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

এই নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী ছিলেন, যাদের পাঁচজনই রক্ষণশীল ও একজন সংস্কারপন্থী। প্রার্থীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো :

মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ: ৬২ বছর বয়সী গালিবাফ একজন প্রখ্যাত রক্ষণশীল নেতা এবং বর্তমানে ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার। তিনি পূর্বে তেহরানের মেয়র ও পুলিশপ্রধানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ইরানের অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের সদস্যও ছিলেন।

আমির-হোসেইন গাজিজাদেহ হাশেমি: ৫৩ বছর বয়সী এই চরম রক্ষণশীল নেতা রাইসি সরকারের কট্টর সমর্থক। তিনি ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মার্টায়ার্স ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ৩.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

সাঈদ জালিলি: ৫৮ বছর বয়সী এই প্রার্থীও একজন চরম রক্ষণশীল নেতা। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে আলোচনা করেন। জালিলি ঘোর পশ্চিমাবিরোধী এবং ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন।

মাসুদ পেজেশকিয়ান: ৬৯ বছর বয়সী পেজেশকিয়ান একজন হার্ট সার্জন এবং একমাত্র সংস্কারপন্থী প্রার্থী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে তাবরিজ থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন এবং ইরানের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। রাইসি সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে তিনি প্রায়শই প্রশ্ন তুলেছেন।

মোস্তফা পুরমোহাম্মদি: ৬৪ বছর বয়সী পুরমোহাম্মদি এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একমাত্র ধর্মীয় নেতা। তিনি রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এবং পরবর্তীতে বিচারমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।

আলিরেজা জাকানি: ৫৮ বছর বয়সী জাকানি একজন কট্টর রক্ষণশীল রাজনীতিক এবং বর্তমানে তেহরানের মেয়র। তিনি চারবার পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন এবং ইরান-ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন।

এই নির্বাচন ইরানের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর