৪ জুলাই, ২০২৪ ১৭:১৫

গাজা যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ : জাতিসংঘের রিপোর্ট

অনলাইন ডেস্ক


গাজা যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ : জাতিসংঘের রিপোর্ট

ধ্বংসস্তূপের সামনে একজন ফিলিস্তিনি

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া সংঘর্ষের পর থেকে গাজা উপত্যকার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমবিষয়ক সমন্বয় দপ্তরের (ওসিএইচএ) ফিলিস্তিন অঞ্চলের প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমিনিকো গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গাজার প্রায় ১৯ লাখ মানুষ এই সংঘর্ষের ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

ডোমিনিকো বলেন, আমাদের অনুমান অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে গাজার প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই অন্তত একবার তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকেই ১০ বার পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গাজায় আগে ১৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত ছিল বলে ধারণা করা হতো। এরপর রাফা ও উত্তরাঞ্চলের আক্রমণের ফলে এই সংখ্যা আরও বেড়ে গেছে।

ডোমিনিকো আরও উল্লেখ করেন, ইসরায়েলের হামলা বারবারই গাজার লোকজনকে তাঁদের বাসস্থান বদলাতে বাধ্য করেছে। গাজার ১৯ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের বাইরেও আরও অনেক মানুষ ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিদিন তারা আশাহীন হয়ে পড়ছেন।

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের কারণে গাজা উপত্যকা এখন কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত (অবরুদ্ধ উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল)। ওসিএইচএর তথ্য অনুযায়ী, উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মানুষের বসবাস, যারা দক্ষিণে যেতে পারছেন না।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আনুমানিক ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ গাজা থেকে রাফা ক্রসিং দিয়ে মিসরে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু মে মাসের শুরুর দিকে এই সীমান্তপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডোমিনিকো জানান, এই মানুষদের একটি অংশ মিসরেই আছেন এবং বাকিরা অন্যত্র চলে গেছেন।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৯৫ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, এই জিম্মিদের মধ্যে ১১৬ জন এখনও গাজায় আছেন এবং ৪২ জন মারা গেছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর