৫ জুলাই, ২০২৪ ১৬:০৭

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৯ কেজি ৬০০ গ্রাম স্বর্ণের বার উদ্ধার, আটক ৭

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৯ কেজি ৬০০ গ্রাম স্বর্ণের বার উদ্ধার, আটক ৭

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৯ কেজি ৬০০ গ্রাম স্বর্ণের বার উদ্ধার, আটক ৭

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৯ কেজি ৬০০ গ্রাম স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ এবং ‌‘ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স’ (ডিআরআই)। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৬ কোটি ৮৬ লাখ রুপির বেশি। স্বর্ণ পাচারকারী সন্দেহে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে ১১ লাখ নগদ রুপি।

আজ শুক্রবার বিএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাহিনীর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অন্তর্গত নদীয়া জেলায় মোতায়েন করা ৬৮ ব্যাটালিয়নের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (ডিআরআই) সাথে চারটি যৌথ অভিযান চালায়। ওই জেলার সীমানগরের ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে পরপর ৪টি অনুসন্ধান অভিযানে ৭ জন চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের কাছ থেকে বিভিন্ন আকৃতির ১৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৯ কেজি ৫৭২ গ্রাম, বাজারে আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৮৬ লাখ ২৩ হাজার ৫৮২ রুপি। এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ডেলিভারিতে ব্যবহৃত একটি মারুতি সংস্থার ইকো গাড়িও আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ রুপি।

তথ্য অনুসারে এই চারটি অভিযানই চালানো হয়েছিল বৃহস্পতিবার। ডিআরআই'এর তরফে প্রদান করা তথ্যের ভিত্তিতে বিএসএফ-এর ৬৮ ব্যাটালিয়ন এবং ডিআরআই-এর একটি যৌথ দল সীমানগর এলাকায় ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে চলাচলকারী যানবাহনে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ জওয়ানরা একটি সন্দেহজনক মারুতি ইকো গাড়ি থামায়। সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করার পর তল্লাশির সময় ৪.৮ কেজি স্বর্ণের বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়। পরে একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশিকালে ১.২ কেজি স্বর্ণের বারসহ একজনকে আটক করা হয়। কিছুক্ষণ পর আরেকটি বাস থামিয়ে তল্লাশিকালে ৩.৬২ কেজি স্বর্ণের বারসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অপর একটি অভিযানে করিমপুরের রামনগর গ্রামে একটি সন্দেহজনক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১টি স্বর্ণের বার ও নগদ ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ রুপিসহ একজনকে আটক করা হয়।

গ্রেফতার প্রধান পাচারকারীসহ সবাই পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বাসিন্দা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান পাচারকারী রফিক মন্ডল (নাম পরিবর্তিত) জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত এবং এবার তিনি ওই জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে স্বর্ণের চালান পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন, যার বিনিময়ে তিনি ৩ হাজার রুপি পেতেন। কিন্তু তার আগেই বিএসএফের জালে ধরা পড়েন তিনি। 

বিএসএফ আরো জানিয়েছে, এর আগে ২০২২ সালে ১৬ টি স্বর্ণের বারসহ বিএসএফ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। যার মামলা এখনো চলছে। 

এ ছাড়া স্বর্ণের অন্য পাচারকারীরাও জানান, করিমপুরের সীমান্ত এলাকা থেকে স্বর্ণ নিয়ে দমদম রেলস্টেশনে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেন এবং এই কাজের জন্য তারা পান ২ থেকে ৫ হাজার রুপি।

আটক সব চোরাকারবারি এবং স্বর্ণ পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিআরআই কলকাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফ কর্মী এবং ডিআরআই-এর সফল অভিযানে এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত ডিআইজি (জনসংযোগ কর্মকর্তা) এ.কে. আর্য।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর