৫ জুলাই, ২০২৪ ১৯:০৮

সুনাকের ‌‘মহাকাব্য’ শেষ হলো ট্রাজেডিতে

অনলাইন ডেস্ক

সুনাকের ‌‘মহাকাব্য’ শেষ হলো ট্রাজেডিতে

হঠাৎ করেই আগাম নির্বাচন ডেকে এক মহাকাব্য লিখতে চেয়েছিলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তবে ফল হয়েছে উল্টো, সরকার গঠন তো দূরের কথা মুখরক্ষার মতো আসনও পায়নি সুনাকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি।

৪১২ আসন নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় লেবার পার্টি। এরইমধ্যে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। কনজারভেটিভ পার্টির দীর্ঘ ১৪ বছরের শাসনের অবসান হয়ে তার সাথে সাথেই। 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে গত মে মাসের শেষের দিকে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন সুনাক। দেশটিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সুনাক চলতি বছরের ৪ জুলাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। 

তারই নির্বাচনি প্রচার ক্যাম্পেইনের প্রধান সুনাকের এ সিদ্ধান্তে দ্বিমত জানিয়েছিলেন।  

সুনাক বড় ধরনের বাজিই ধরেছিলেন। তবে সেই বাজি ভোজবাতির মতোই ফুরিয়ে গেছে। অতি আত্মবিশ্বাসী ঋষি সুনাক লেবার পার্টির স্টারমারকে ধরাশায়ী করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে রীতিমতো ধরা খেয়েছেন। লেবার পার্টির কাছে ধরাশায়ী হয়েছে তার দল। ইতিহাসের সবচেয়ে শোচনীয় পরাজয়ই বলছেন অনেকে। 

নির্বাচনে এমন পরাজয়ের কারণে কনজারভেটিভ নেতারা একে-অপরকে দোষারোপ করছেন। তাদের অনেকের মনেই এখন এ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, হয়তো এ পরাজয় তাদের এক প্রজন্মকে ক্ষমতার বাইরে রাখবে।

কনজারভেটিভ পার্টির এমন ফলে হতাশ হয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা নানা রকম মত দিয়েছেন। তবে তারা এক বিষয়ে একমত, তা হলো সুনাকের নির্বাচনি কৌশল। একেই তারা বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসেবেই দেখছেন।

নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদের সদস্য পেনি মরডান্ট বলেছেন, 'কনজারভেটিভ পার্টি বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। কারণ, দলটি জনগণের আস্থা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।' সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস বলেছেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমাদের মতপার্থক্য দূর করতে না পারায় ভোটাররা হতাশ হয়েছেন।'

সবমিলিয়ে সুনাকে মহাকাব্য আপাতত শেষ হলো ট্রাজেডিতে। ১৪ বছর পর ব্রিটিশ মসনদ দখলে নিল লেবার পার্টি। 

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর