১৫ জুলাই, ২০২৪ ১১:০৫

খুলিতে লাগত গুলি, শেষমুহূর্তে ঘাড় ঘুরিয়ে বেঁচে যান ট্রাম্প!

অনলাইন ডেস্ক

খুলিতে লাগত গুলি, শেষমুহূর্তে ঘাড় ঘুরিয়ে বেঁচে যান ট্রাম্প!

গুলিবিদ্ধ ট্রাম্পকে সরিয়ে নিচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

একদম ঠিক সময়ে ঘাড়টা ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। নাহলে ঠিক তার মাথার খুলিতে লাগত বুলেট। আর সেটা ধরা পড়েছে নতুন একটি ভিডিওতে। তাতে দেখা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানের উপরের অংশে যখন গুলিটা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়, সেই মুহূর্তে মাথাটা ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।

স্লো-মোশনের ভিডিওটি দেখে শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা। তাতে দেখা যায়, পেনসিলভানিয়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ সময় নিজের স্বভাব মতো বারবার ঘাড় ঘোরাতে থাকেন তিনি। আর একবার ঘাড় ঘোরানোর ঠিক পরেই কানে কিছু একটা অনুভব করেন। কানে হাত দেওয়ার পরেই রক্ত দেখে মাথা নামিয়ে ফেলেন। সম্ভবত তখন গুলির শব্দও শুনতে পান। ততক্ষণে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা এসে তাকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলেন। তাকে পুরোপুরি ‘গার্ড’ করে রাখেন।

‘শোঁ করে আওয়াজ শোনার পরই…’

সেই মুহূর্তে ঠিক কী হয়েছিল, সেটার ব্যাখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমায় লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। যা আমার কানের উপরের অংশ ভেদ করে চলে যায়। শোঁ করে আওয়াজ শোনার পরই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে কিছু একটা গড়বড় হয়েছে। তারপরই অনুভব করি যে আমার চামড়ার মধ্যে দিয়ে বুলেট চলে গিয়েছে।”

এখন কেমন আছেন ট্রাম্প?

কানের উপরের অংশ ছুঁয়ে বুলেট বেরিয়ে যাওয়ায় বড় কোনও বিপদ হয়নি। ট্রাম্প কমিউনিকেশনসের কর্মকর্তা স্টিভেন চুং জানান, গুরুতর আহত হননি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের টার্নিং পয়েন্ট হল এই গুলি?

তবে পেনসিলভানিয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের জীবনের বড় টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। ওই মহলের মতে, গুলির ঘটনার পরে রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের নামে পুরোপুরি সিলমোহর পড়ে গেল। ছিঁটেফোটাও কোনও সন্দেহ থাকলেও তা দূরে হয়ে গেল পেনসিলভানিয়ার ঘটনায়।

ওই মহলের মতে, গুলির ঘটনার পরে ট্রাম্পের যে ছবি ছড়িয়ে পডেছে, তাতে একইসঙ্গে দুটি ভাবমূর্তি তৈরি হয়ে গেছে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের- ‘হিরো’ এবং ‘সহিংতার শিকার’ (ভিক্টিম)। এতদিন ডেমোক্র্যাটরা যে তাকে রাজনৈতিক সহিংসতার ‘উৎস’ হিসেবে চিহ্নিত করতেন, সেটা পুরোপুরি ঘুরে গেল এই ঘটনায়। বরং এখন রিপাবলিকানরা পাল্টা বলতে পারবেন যে ট্রাম্পই আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ‘শিকার’।

শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পেনসিলভানিয়ার ঘটনার পরে সহানুভূতি একটা বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। সহানুভূতি ভোট পেতে পারেন ট্রাম্প। যে প্রদেশগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত ছিল, তাতেও ট্রাম্প সহজে উতরে যাবেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, নিউজ উইক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর