২৪ জুলাই, ২০২৪ ০৩:৪০

মুখোমুখি ট্রাম্প কমলা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

প্রতিদিন ডেস্ক

মুখোমুখি ট্রাম্প কমলা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ট্রাম্প এতদিন ডেমোক্র্যাটিক দলের  জো বাইডেনের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করে আসছিলেন। বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় তার ফোকাস এখন কমলা হ্যারিস। ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থিতায় তিনি এগিয়ে রয়েছেন। ট্রাম্প এরই মধ্যে বলেছেন, কমলা হ্যারিসকে হারানো তার জন্য আরও সহজ হবে। অন্যদিকে কমলাও ট্রাম্পকে নিয়ে কঠোর বক্তব্য দিয়েছেন। বলেছেন, ট্রাম্প বিভাজনের রাজনীতি করছেন।

আগামী নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নাম জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে আরেক ডেমোক্র্যাট নেতা হিলারি ক্লিনটনের পর ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসই দ্বিতীয় নারী হিসেবে  মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে যাচ্ছেন। জো বাইডেনের স্থলে নতুন প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সাংগঠনিক কাঠামো থেকে চলা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ঘোষণা কমলা হ্যারিসের প্রার্থিতার পক্ষে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। বার্তা সংস্থা এএফফিকে এ বিষয়ে নিউইয়র্কের বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডোনাল্ড নাইম্যান বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কমলা হ্যারিসই লড়তে যাচ্ছেন।’ এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর দল কমলা হ্যারিসকেই প্রার্থী হিসেবে ধরে নিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা করে যাচ্ছেন। ১৯ আগস্ট ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে নির্ধারিত হবে কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। কমলা হ্যারিসের বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস জ্যামাইকান। অর্থনীতির এ অধ্যাপক একসময় পড়িয়েছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমলার মা ক্যান্সার গবেষক শ্যামলা গোপালান ভারতীয় এক কূটনীতিকের মেয়ে। ডোনাল্ড হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়তে আসেন ১৯৬১ সালে। এখানেই তার পরিচয় শ্যামলার সঙ্গে। এরপর প্রেম-সংসার। কমলা এ দম্পতির প্রথম সন্তান। ১৯৬৪ সালের ২০ অক্টোবর তাঁর জন্ম ওকল্যান্ডে। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি পড়ার পর কমলা হেস্টিং কলেজ থেকে আইনে ডিগ্রি নেন। ১৯৯০ সালে তিনি ওকল্যান্ডে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৪ সালে সান ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি হন। ২০১০ সালে জয়ী হন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল পদে। ২০১৬ সালে সিনেট নির্বাচনে সহজে জয়লাভ করে তিনি পা রাখেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রসের উচ্চকক্ষে। আর এবার শুরু করবেন নতুন এক লড়াই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর