২৪ জুলাই, ২০২৪ ১১:১৯

ট্রাম্পকে কতটা চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারবেন কমালা হ্যারিস?

অনলাইন ডেস্ক

ট্রাম্পকে কতটা চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারবেন কমালা হ্যারিস?

রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে কমলা হ্যারিসের পথ ক্রমশ সুগম হচ্ছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর পর হ্যারিসকে তার উত্তরসূরি হিসেবে নাম প্রস্তাব করেছেন। শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট নেতাদের সমর্থন পেলেও, হ্যারিস এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মনোনয়ন পাননি।

দলের কাছ থেকে মনোনয়ন পেলেও, কমলা হ্যারিসের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করা। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে হ্যারিস কিছুটা পিছিয়ে আছেন। 

জো বাইডেনের ফিটনেস ও নির্বাচনি প্রচার চালানোর ক্ষমতা নিয়ে ওঠা প্রশ্নের পর হ্যারিসের প্রার্থীতা ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। দলের শীর্ষ নেতারা, বিশেষ করে হাউসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, হ্যারিসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।

হ্যারিসের বয়স ৫৯, যা তাকে বাইডেনের বয়সজনিত সমালোচনা থেকে মুক্তি দেবে। তিনি যদি ডেমোক্র্যাটিক বেসকে শক্তিশালী করতে পারেন এবং প্রধান সুইং স্টেটগুলোর মধ্যপন্থি ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হন, তবে তার জয় সম্ভব।

বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর পর, হ্যারিসের প্রচার শিবির ৮ কোটি ডলারের বেশি অনুদান সংগ্রহ করেছে। বাইডেন-হ্যারিস তহবিল থেকে পাওয়া ১০ কোটি ডলারও হ্যারিসকে আর্থিক ভিত্তি দেবে।

হ্যারিসের প্রসিকিউটরিয়াল ব্যাকগ্রাউন্ড তাকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রচারে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া, গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে তার অবস্থান ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

তবে হ্যারিসেরও কিছু দুর্বলতা রয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার রেকর্ড মিশ্র, এবং অভিবাসন সংকটের কারণে তিনি সমালোচিত হয়েছেন। রিপাবলিকানরা ইতোমধ্যে তাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছে এবং জনমত জরিপে দেখা গেছে অভিবাসন নীতির জন্য তাকে দায়ী করছে।

তবে, হ্যারিস যদি তার প্রচারের প্রথমেই ভালো ইমপ্রেশন তৈরি করতে পারেন, তাহলে তিনি মার্কিন রাজনীতির বৃহত্তম মঞ্চে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সামর্থ্য প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর