২৪ জুলাই, ২০২৪ ১১:৪৪

অলিম্পিকের পর নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম জানাবেন ম্যাক্রোঁ

অনলাইন ডেস্ক

অলিম্পিকের পর নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম জানাবেন ম্যাক্রোঁ

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ

বামপন্থিরা চেয়েছিল, ফ্রান্সে এখনই নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হোক। তবে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, প্যারিস অলিম্পিকের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হবে। ততদিন দলগুলোও নিজেদের মধ্যে একটি বৃহত্তর জোট তৈরি করতে পারবে। অলিম্পিক যতদিন চলবে, ততদিন কেয়ারটেকার সরকারই কাজ চালাবে।

ব্রডকাস্টার ফ্রান্স ২-কে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, “এখন আমাদের অলিম্পিককেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।”

আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত অলিম্পিক চলবে। অলিম্পিকের উদ্বোধন হবে শুক্রবার।  স্থানীয় সময় বুধবার থেকেই অবশ্য  শুরু হয়ে যাচ্ছে ফুটবলের ম্যাচ।

ম্যাক্রোঁ বলেছেন, “অলিম্পিক শেষ হওয়ার পর আমার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা। তারপর সরকার গঠনের কাজটা তার উপর ছেড়ে দেওয়া। আমি বৃহত্তর জোট চাই।”

বামেদের প্রার্থী কে?

ম্যাক্রোঁর এই সাক্ষাৎকার প্রকাশের একঘণ্টা আগে বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিএফ) জানিয়ে দেয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তারা লুসি ক্যাসটেটকে চান। বামপন্থিরা পার্লামেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জিতেছে।

ক্যাসটেট হলেন প্যারিস সিটি হলের ফাইন্যান্স ও পারচেসিংয়ের ডিরেক্টর। দলীয় রাজনীতির বিষয়ে তার কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।

ম্যাক্রোঁকে বামপন্থিদের ঘোষিত প্রার্থীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ম্যাক্রোঁর জবাব হল, “নামটা আসল বিষয় নয়। আসল বিষয় হল, ন্যাশনাল অ্যাসম্বেলিতে কোন সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট তৈরি হয়, সেটা।”

ম্যাক্রোঁ বলেছেন, “আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোনও কিছু করা যাবে না। কারণ তখন প্যারিস অলিম্পিক চলবে। এই অলিম্পিক করাটা নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার দিক থেকে ফ্রান্সের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।”

ফ্রান্সে রাজনৈতিক সংকট কেন?

চকিত-নির্বাচনের পর থেকে ফ্রান্সে রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছে।

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তিনটি ব্লকে দলগুলো বিভক্ত। বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট, যারা সবচেয়ে বেশি আসনে জিতেছে, ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোট এবং লা পেনের নেতৃত্বে অতি-ডানপন্থিরা।

প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ম্যাক্রোঁর আছে। তবে তিনি যাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাছবেন, তার পিছনে সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন থাকা জরুরি। না হলে অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে তার পতন ঘটবে। সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে

বিডি প্রতিদিন/একেএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর