শিরোনাম
১ আগস্ট, ২০২৪ ১৫:৩৬

এবার হামাসের সামরিক প্রধান দেইফকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

অনলাইন ডেস্ক

এবার হামাসের সামরিক প্রধান দেইফকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

মোহাম্মদ দেইফ (ফাইল ছবি)

এবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফকে হত্যার দাবি করল ইসরায়েল।

ইসরয়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বৃহস্পতিবার এই দাবি করে।

ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর ভাষ্য, গত ১৩ জুলাই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় মোহাম্মদ দেইফ নিহত হন।

তবে ওই বিমান হামলার পর হামাসের আরেক কমান্ডার রাফা সালেমেহ নিহত হওয়ার দাবি করেছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বলা হয়, তখন মোহাম্মদ দেইফ নিহত হওয়ার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলা চালিয়ে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়। এর একদিন পর সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ নিহত হওয়ার খবর জানাল ইসরায়েল।

বুধবার সকালে ইরানি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, তেহরানে চালানো হামলায় হানিয়া ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হামাসের অন্যতম শীর্ষ এই নেতা।

কে এই মোহাম্মদ দেইফ?

মোহাম্মদ দেইফ হামাসের সামরিক শাখা আল–কাসেম ব্রিগেডের কমান্ডার। তার জন্ম ১৯৬৫ সালে, গাজার খান ইউনিস শরণার্থীশিবিরে। ১৯৪৮ সালের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই শরণার্থীশিবির প্রতিষ্ঠিত হয়।

দেইফের নাম ছিল মোহাম্মদ মাসরি। ১৯৮৭ সালে প্রথম ইন্তিফাদা শুরুর পর তিনি হামাসে যোগ দেন। তখন তার নাম হয় মোহাম্মদ দেইফ।

১৯৮৯ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেইফ। তখন ১৬ মাস কারাগারে ছিলেন তিনি। হামাস সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজা থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন দেইফ। পদার্থ, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। তবে নানা বিষয়ে তার আগ্রহ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কমিটির প্রধান ছিলেন। তিনি মঞ্চেও অভিনয় করেছেন।

গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় অসংখ্য টানেল বা সুড়ঙ্গ রয়েছে। এ নেটওয়ার্ক উন্নয়নে কাজ করেছেন দেইফ। এছাড়া তিনি হামাসের বোমা বানানোর প্রকল্পে ভূমিকা রেখেছেন। তবে সচরাচর প্রকাশ্যে আসতেন না দেইফ।

কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় দেইফের নাম রয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টায় দেইফ একটি চোখ হারান। সেই সঙ্গে পায়ে গুরুতর আঘাত পান তিনি। ২০১৪ সালে ইসরায়েলের বিমান হামলায় দেইফের স্ত্রী, সাত মাসের পুত্রসন্তান এবং তিন বছর বয়সী মেয়ে নিহত হয়। সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স

বিডি প্রতিদিন/একেএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর