ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। এই তালিকায় ৪৪ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

দেশটির কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে ৯০টি আসনের জন্য মোট তিন দফায় ভোট নেওয়া হবে। প্রথম দফায় আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ২৪ আসনে, দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ২৬ আসনে এবং তৃতীয় দফায় ১ অক্টোবর ৪০ আসনে ভোট নেওয়া হবে। ভোট গণনা আগামী ৪ অক্টোবর।

প্রথম তালিকায় ১৪ জন মুসলিম প্রার্থীর নাম রয়েছে। দুইজন কাশ্মিরি পন্ডিতকেও এবার প্রার্থী করেছে বিজেপি। ন্যাশনাল কনফারেন্সে ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দেবীন্দর সিং রানাকে (কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং’এর ছোট ভাই) নাগরোটা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে বিজেপি।

বিজেপির প্রার্থী তালিকায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ শওকাত গেউর আন্দ্রবী (পাম্পোর কেন্দ্র), মোহাম্মদ রফিক ওয়ানি (অনন্তনাগ ওয়েস্ট), জাভেদ আহমেদ কাদরী (সোফিয়ান), অ্যাডভোকেট সৈয়দ ওয়াজাহাট (অনন্তনাগ) প্রমুখ। তবে প্রথম তালিকায় জায়গা হয়নি জম্মু-কাশ্মীরের দুই সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিং ও কবিন্দার গুপ্তা এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবিন্দার রায়না।

আসন্ন নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে রবিবারই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, দলের সভাপতি জেপি নাড্ডাসহ অন্যরা। এরপর সোমবারই দলের তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হলো। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মূলত জনসংযোগ, স্বচ্ছ রাজনৈতীক ভাবমূর্তি, জয়ের সম্ভাবনার বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫এ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর রাজ্যের মর্যাদা হারানো এবং জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের পর সেখানে বিধানসভার ভোট হতে চলেছে। শেষবার ২০১৪ সালে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরে। ওই নির্বাচনে জোট সরকার গঠন করে বিজেপি ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। যদিও ২০১৮ সালের ১৮ জুন জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসে মেহেবুবা মুফতির নেতৃতাধীন পিডিপি। সে থেকে সেখানে কেন্দ্রীয় শাসন চলছে।

জম্মু এবং কাশ্মীরে মোট ভোটারের সংখ্যা ৮৭.০৯ লাখ। এর মধ্যে ৪৪.৪৬ পুরুষ ভোটার, নারী ভোটার ৪২.৬২ লাখ। প্রথম ভোটারের সংখ্যা ৩.৭১ লাখ এবং নতুন প্রজন্মের ভোটার ২০.৭ লাখ। ভোট গ্রহণের জন্য ১১ হাজার ৮০০ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হবে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ