ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচনের দিনক্ষণ পরিবর্তন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এক ধাপে রাজ্যটির মোট ৯০ আসনে ভোট নেওয়ার কথা ছিল আগামী ১ অক্টোবর। পরিবর্তিত ভোটগ্রহণের দিন স্থির করা হয়েছে আগামী ৫ অক্টোবর। একই সঙ্গে ভোট গণনার দিন ৪ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে করা হয়েছে ৮ অক্টোবর। ওই একই দিনে (৮ অক্টোবর) ভারতের জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফলও ঘোষণা করা হবে।
হরিয়ানার বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভোট দেওয়ার অধিকারকে সম্মান দিয়েই রাজ্যটিতে ভোটের দিনক্ষণ বদল ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এক সরকারি বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে “জাতীয় রাজনৈতিক দল, আঞ্চলিক দল, অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই মহাসভার প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অসোজ অমাবস্যা উৎসব উপলক্ষে হরিয়ানা থেকে রাজস্থান- সর্বত্র বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসবে মেতে উঠবেন। স্বাভাবিকভাবে উৎসব চলাকালীন সময়ে একটি বিশাল সংখ্যক মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না।”চলতি বছরের অসোজ অমাবস্যা উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ২ অক্টোবর। ফলে ওইদিন হরিয়ানার সিরসা, ফতেয়াবাদ, হিসার এলাকায় বসবাসরত হাজার হাজার বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ রাজস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
আগামী ১ অক্টোবর ভোট হলে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকতে পারে। এই বিষয়টি অনুধাবন করে কমিশনের কাছে নির্বাচনের দিন পেছানোর আবেদন জানিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রের ক্ষমতাশীল দল বিজেপিও।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ১ অক্টোবর নির্বাচনের দিন এবং ৪ অক্টোবর ভোট গণনার দিন ঘোষণা করা হয়েছিল।
তবে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার নির্বাচনের দিনক্ষণের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। মোট তিন দফায় ভোট নেওয়া হবে দেশটির কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ৯০টি আসনে।
প্রথম দফায় আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ২৪ আসনে, দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ২৬ আসনে এবং তৃতীয় দফায় ১ অক্টোবর ৪০ আসনে ভোট নেওয়া হবে।
ভোটগণনা আগামী ৮ অক্টোবর। ওই দিনই হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসতেই জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর উপত্যকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে যাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। ওইদিন জম্মুর বানিহালে একটি মেগা র্যালিতে অংশ নেবেন রাহুল। পাশাপাশি দক্ষিণ কাশ্মীরের ডোরুতে আরেকটি প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন তিনি।
রাহুলের পাশাপাশি তার বোন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ দলের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সময়ে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের সাথে জোট বেঁধে নির্বাচনে লড়াই করছে কংগ্রেস। দুই দলের মধ্যে আসন সমঝোতার ফলে কেন্দ্রীয় শাসিত এই অঞ্চলের ৯০ আসনের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৫১ আসনে এবং ৩২ আসনে লড়বে কংগ্রেস।
জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা’র অভিমত, ভারতজোড়া যাত্রার সময় জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের সাথে রাহুল গান্ধীর যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল আসন্ন নির্বাচনে তা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর ফলে আমাদের মনোবল অনেক তুঙ্গে এবং আমরা আশাবাদী যে এই নির্বাচনে আমাদের জয় হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ