৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৮:৪২

আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপে বিক্ষুব্ধ ইসরায়েল, হুমকির মুখে নেতানিয়াহু

অনলাইন ডেস্ক

 আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপে বিক্ষুব্ধ ইসরায়েল, হুমকির মুখে নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এখন আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকেই ব্যাপক চাপের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গত শনিবার গাজা থেকে ছয় জনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বান আরও জোরালো হয়েছে। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরাসরি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন।

এছাড়া, যুক্তরাজ্য সোমবার ঘোষণা করেছে, তারা ইসরায়েলে নির্দিষ্ট কিছু অস্ত্র রপ্তানি বাতিল করতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘনের ঝুঁকির কারণে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এই সিদ্ধান্তে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, গাজা থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের মুখে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি ইসরায়েলি জনগণের কাছে জিম্মিদের জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

শনিবার দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকায় একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক ছিলেন। এই ঘটনাটি ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়। পরদিন সোমবার দেশটির প্রধান ট্রেড ইউনিয়ন হিস্ট্রাড্রট দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয়, যা তেল আবিবসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোকে কার্যত অচল করে দেয়।

এর আগের দিন রবিবার নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সেখানে তারা জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে চুক্তির দাবি জানায়।

 গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সতর্ক করেছে যে, যুদ্ধবিরতি না হলে আরও জিম্মি প্রাণ হারাবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনকে জীবিত ও মৃত অবস্থায় ফেরত আনা সম্ভব হলেও, এখনও হামাসের হাতে ৯৭ জন জিম্মি রয়ে গেছে এবং মোট ৩৩ জন জিম্মির মৃত্যু হয়েছে। 

নেতানিয়াহু সোমবার ঘোষণা দেন, জিম্মিদের হত্যার ঘটনায় হামাসকে চড়া মূল্য দিতে হবে এবং গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় তিনি কোনো ছাড় দেবেন না। তিনি আরও বলেন, গাজা-মিসর সীমান্তে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ ফেলাডেলফি করিডরের নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে থাকবে। 

তবে নেতানিয়াহুর সমালোচকেরা বলছেন, তিনি কেবলমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখার উদ্দেশ্যে যুদ্ধের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করছেন, যা ইসরায়েলি জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে।

বিডিপ্রতিদিন.কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর