১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৩:৪৭

হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলো ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে

অনলাইন ডেস্ক

 হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলো ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হুতিরা ইসরায়েলের দিকে একাধিকবার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এটা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। রবিবারের এই হামলায় হুতিদের নতুন হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি ২ হাজার ৪০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে মাত্র ১১.৫ মিনিট সময় নিয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশেই আঘাত করা হয়েছে। তবে এটি পুরোপুরি ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি। এর টুকরো অংশগুলো ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে, একটি রেলস্টেশনের কাছে পড়েছে। কোনো সরাসরি হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ৯ জন মানুষ হালকা আঘাত পেয়েছে। তারা সতর্কসংকেত পেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছিল।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, হুতিদের বোঝা উচিত ছিল যে ইসরায়েলের ওপর হামলা হলে তার চড়া মূল্য দিতে হবে। তিনি মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে হুতিদের এই আক্রমণের জন্য তীব্র নিন্দা জানান এবং ইরানকে এই হামলার পিছনে সমর্থনকারী হিসেবে চিহ্নিত করেন।

হুতি বিদ্রোহীরা এ আক্রমণকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে। গত বছর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হুতিরা ইসরায়েলের দিকে একাধিকবার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। এ বছরের জুলাই মাসে হুতিরা তেল আবিবে প্রথমবারের মতো ড্রোন হামলা চালিয়েছিল, যাতে এক ব্যক্তি নিহত এবং চারজন আহত হন। জবাবে, ইসরায়েল ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দরে বিমান হামলা চালায়, যেখানে ছয়জন নিহত ও ৮০ জন আহত হয়েছিল।

হুতির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, ৭ অক্টোবরের গাজার যুদ্ধের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইসরায়েলের ওপর আরও হামলার আশঙ্কা রয়েছে। হুতিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার পর একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘সূচনাপর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন হুতিদের মিডিয়া শাখার উপপ্রধান নাসরুদ্দিন আমের।

এই হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে, হুতি বিদ্রোহীরা তাদের সামরিক সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর