১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ২১:১৭

মহড়ায় তাইওয়ানকে ঘিরে রেখেছে ১৫৩টি চীনা যুদ্ধবিমান

অনলাইন ডেস্ক

মহড়ায় তাইওয়ানকে ঘিরে রেখেছে ১৫৩টি চীনা যুদ্ধবিমান

ফাইল ছবি

তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া করেছে চীন। এতে বিপুল সংখ্যক যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করেছে এশিয়ার অন্যতম এই পরাশক্তি। তাইওয়ান বলেছে, চীন উসকানি দিচ্ছে। 

সোমবার থেকে এই সামরিক মহড়া করে চীন। এরপর তাইওয়ানের চারপাশে রেকর্ড সংখ্যক চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত করা হয়েছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক মহড়ার সময় ১৫৩টি চীনা যুদ্ধবিমান তার চারপাশে ঘিরে রেখেছিল। দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, যুদ্ধবিমানের তৎপরতা বৃদ্ধির ফলে সোমবার রাত ১০টা (গ্রিনিচ মান সময়) থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক বিমান চিহ্নিত করা হয়েছে। 

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চীনের এই যুদ্ধ মহড়া আবারও তাইওয়ান এবং সমগ্র অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।

সোমবার বেইজিং যুদ্ধবিমান, ড্রোন, যুদ্ধজাহাজ এবং কোস্টগার্ড জাহাজ মোতায়েন করে তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলে। তাইপে জানিয়েছে, তারাও সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে বাইরের দ্বীপগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের ৯০টি বিমান তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলের মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বেইজিং তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে এবং বলেছে, তারা কখনওই শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা বাতিল করবে না। অর্থাৎ, তাইওয়ানকে চীনের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

চীন জানিয়েছে, একদিনের এই মহড়াকে বলা হচ্ছে ‘জয়েন্ট সোর্ড-২০২৪বি’। ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের’ বিরুদ্ধে এটি ছিল বেইজিংয়ের সতর্কবার্তা। 

গত সপ্তাহে জাতীয় দিবসের ভাষণ দেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে। সেই ভাষণের নিন্দা জানিয়েছিল বেইজিং। তারই ধারাবাহিকতায় চীন এই যুদ্ধ মহড়ার আয়োজন করে। চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তাইওয়ান স্বাধীন বলে লাই চিং-তে যেভাবে অবিরাম ভিত্তিহীন বক্তব্য দিচ্ছেন সেটার শাস্তি এই মহড়া।

লাই তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, তাইওয়ানকে প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার চীনের নেই। তিনি যেকোনও আক্রমণ প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন।

তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই বলেছেন, এই মহড়াগুলো শুধু তাইপের জন্য নয়, বরং পুরো অঞ্চলের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, আগাম কোনও সতর্কতা ছাড়া যেকোনও মহড়া পুরো অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাবে। চীনের মহড়া শুধুমাত্র তাইওয়ানের প্রতিবেশী এলাকাকে প্রভাবিত করে না, বরং সমগ্র আন্তর্জাতিক নৌ-অধিকার এবং আকাশ ও সমুদ্রসীমার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। যার ফলে অন্যান্য দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা

বিডি প্রতিদিন/একেএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর