ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির সার্টিফিকেটে নারী লেখা থাকলেই তিনি আইনত নারী নন। বরং যুক্তরাজ্যের সমতা আইন একজন নারীকে জৈবিকভাবে নারী হিসেবে জন্মগ্রহণকারী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে।
বুধবার একটি মামলার রায়ে এভাবে নারীকে সংজ্ঞায়িত করেছে ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি প্যাট্রিক হজ জানিয়েছেন, আদালতের পাঁচজন বিচারক সর্বসম্মতিক্রমে রায় দিয়েছেন যে, সমতা আইনে ‘নারী’ ও ‘যৌন’ শব্দটি একজন জৈবিক নারী ও জৈবিক যৌনতাকে বোঝায়।
এই রায়ের অর্থ হল, একজন ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি যার কাছে নারী হিসেবে স্বীকৃতির সার্টিফিকেট আছে, তাকে সমতার স্বার্থে নারী হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।
এই মামলাটি ২০১৮ সালে স্কটিশ পার্লামেন্টে পাস করা একটি আইন থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ওই আইনে বলা হয়েছে, স্কটিশ সরকারি সংস্থাগুলোর বোর্ডে ৫০ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধি থাকা উচিত। সেই আইনে নারীর সংজ্ঞায় ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
৮৮ পৃষ্ঠার রায়ে লর্ড হজ, লেডি রোজ এবং লেডি সিমলার বলেছেন, “২০১০ সালের সমতা আইনে যৌনতার সংজ্ঞা স্পষ্ট করে যে, যৌনতার ধারণাটি দ্বিমুখী; একজন ব্যক্তি হয় একজন নারী, নয়তো একজন পুরুষ।”
আদালত বলেছে, “যদিও ‘জৈবিক’ শব্দটি এই সংজ্ঞায় নেই, তবুও এই সরল এবং দ্ব্যর্থক শব্দগুলোর সাধারণ অর্থ জৈবিক বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়, যা একজন ব্যক্তিকে পুরুষ বা নারী করে তোলে।” সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/একেএ