মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ কারেন রাজ্য থেকে প্রায় ২০০ জন জাতিগত কারেন পালিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
শনিবার এই তথ্য জানিয়েছেন থাই সীমান্ত কর্মকর্তারা।
থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় কারেন রাজ্যে স্থানীয় জাতিগত মিলিশিয়ারা সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
মিয়ানমারে চলমান চার বছরের সংঘাত ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুতি ঘটিয়েছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ পার্শ্ববর্তী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, থাই সেনাবাহিনীর নরেসুয়ান ফোর্স সীমান্ত ইউনিটের কমান্ডার মেজর জেনারেল মাইত্রি চুপ্রিচা জানান, শুক্রবার ও শনিবার মিয়ানমার সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের এলাকায় বোমাবর্ষণ ও গৃহযুদ্ধের কারণে কারেন জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ২০০ জন মানুষ থাইল্যান্ডে পালিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ড্রোন হামলার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ওপর চালানো বোমা হামলায় ভীত হয়ে অনেকে ময়ে নদী পেরিয়ে থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশে প্রবেশ করে। প্রায় ২০০ জন মানুষ... শুক্রবার বিকাল থেকে আসতে শুরু করেছে। তারা সবাই জাতিগত কারেন জনগণ।
যারা সীমান্ত পার হয়েছে, তাদের অস্থায়ীভাবে রতচামানু টাস্ক ফোর্সের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। থাই সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মাইত্রি সতর্ক করে বলেন, আরও মানুষ থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৩,৭০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর পর ত্রাণ কার্যক্রম সহজ করতে সামরিক জান্তা ও বিভিন্ন বিরোধী গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
তবে এ সপ্তাহে মিয়ানমারের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কারেন রাজ্যের কয়েকটি শহরে এখনও লড়াই চলছে, যেগুলো থাইল্যান্ডের মায়ে সট সীমান্ত শহরের সঙ্গে সংযুক্ত প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত। সূত্র: দ্য স্টার, ম্যাকাউ বিজনেস
বিডি প্রতিদিন/একেএ