বিশ্বব্যাপী পেস্তার ঘাটতির জন্য ভাইরাল ‘দুবাই চকোলেট’ ট্রেন্ডকে দোষারোপ করা হতে পারে! নাফেহ, পেস্তা ক্রিম এবং তাহিনি স্প্রেড দিয়ে ভরা জনপ্রিয় মিল্ক চকোলেট বারটি মূলত ২০২১ সালে দুবাই-ভিত্তিক ফিক্স ডেজার্ট চকোলেটিয়া চালু করেছিল।
ব্রিটিশ-মিশরীয় উদ্যোক্তা সারা হামুদা যখন তার স্বামী ইয়েজেন আলানির সাথে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তখন তিনি তার গর্ভাবস্থার নিজের পছন্দের খাবার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
২০২৩ সালের মধ্যে মারিয়া ভেহেরার চকোলেট খাওয়ার একটি টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। মিষ্টি খাবারের চাহিদা আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে।
মূল ভিডিওটি ১২০ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ হয়। ফলে এর আবেশ ছড়িয়ে পড়ে।
নিঃসন্দেহে, এটিই আন্তর্জাতিকভাবে পেস্তা বাদামের ঘাটতির কারণ হতে পারে। এই পেস্তার বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্র বা ইরানে উৎপাদিত হয়।
সিজি হ্যাকিংয়ের বাদাম ব্যবসায়ী জাইলস হ্যাকিং দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, এক বছরের মধ্যে প্রতি পাউন্ডে দাম ৭.৬৫ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ১০.৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে পেস্তার জগৎ মূলত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে।
শুধুমাত্র দুবাই চকলেটই বিশ্বে ঝড় তুলেছে তা নয়। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে পেস্তার খারাপ ফলনও এ জন্য দায়ী।
হ্যাকিং বলেন, সরবরাহ খুব বেশি ছিল না, তাই যখন দুবাই চকলেট আসে, এবং চকোলেট প্রস্তুতকারকরা তাদের হাতে থাকা সমস্ত কার্নেল কিনে নেয়... যার ফলে বিশ্বের বাকি অংশে এর অভাব দেখা দেয়।
ইরানের কাস্টমস অফিসের মতে, মার্চ পর্যন্ত ছয় মাসে ইরানি উৎপাদকরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি বাদাম রপ্তানি করেছে।
ইরান পেস্তা অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড সদস্য বেহরুজ আগাহ দ্য ফিনান্সিয়াল রিভিউকে বলেন, ২০২৩ সালে চাহিদার চেয়ে পেস্তার সরবরাহ বেশি ছিল। যার ফলে দাম কমে গিয়েছিল। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরণের উপজাত পাওয়া যায় যেমন পেস্তা মাখন, তেল এবং পেস্ট, যা বিস্তৃত পরিসরে পেস্তা-ভিত্তিক খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা প্রায় একই সময়ে দুবাই চকলেট বাজারে আসে এবং ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল