ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে অস্ত্রধারীদের হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সামরিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে ভারত সরকার।
সৌদি সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোন আলাপে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহকে হামলাস্থল পরিদর্শন করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। পাহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পরপরই অমিত শাহ দিল্লিতে তার বাড়িতে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন, যেখানে গোয়েন্দা ব্যুরো প্রধান তপন ডেকা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন উপস্থিত ছিলেন। সিআরপিএফ প্রধান জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক নলিন প্রভাত এবং কিছু সেনা কর্মকর্তাও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। অমিত মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংয়ের সাথেও কথা বলেছেন।
সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করার জন্য একটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করা হয়েছে। গভর্নর সিনহা জানান, পাহেলগাঁওয়ে হামলার অপরাধীদের তাদের জঘন্য কাজের জন্য খুব ভারী মূল্য দিতে হবে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পাহেলগাঁওয়ের পাহাড়ে একটি রিসোর্টের অদূরে পর্যটকেরা হামলার শিকার হন বলে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি। সবুজে ঘেরা বৈসরন উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে তারা হামলার কবলে পড়েন। সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের জনে জনে নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি করেছে বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে।
হামলার ঘটনার পরই সেনা এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। হামলাকারীদের খোঁজে এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদী, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিং ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। সৌদি আরব সফররত মোদি বলেছেন, দোষীরা কেউ রেহাই পাবে না।
এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার ধরন দেখে অনেকে মনে করছেন লশকর-ই-ত্যায়বা বা তার ‘ছায়া সংগঠন’ ‘তেহরিক লবাইক ইয়া মুসলিম (টিএলএম) এই হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল