শিরোনাম
রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সহায়তা চাইলেন মালালা

নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সহায়তা চাইলেন মালালা

বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী পাকিস্তানি ষোড়শী মালালা ইউসুফজাই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সহযোগিতা চাইলেন। বাংলাদেশের নারী শিক্ষা এবং নারী ক্ষমতায়নের প্রশংসাও করলেন অসমসাহসী এই তরুণী। ১৩ জুলাই শনিবার নিউইয়র্কে পাকিস্তানী মিশনে মালালার সম্মানে দেয়া ইফতার মাহফিলে নারী অধিকারের ব্যাপারে সচেতন বিশ্বের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানালেন। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টোর শাল পরে এসেছিলেন মালালা এবং পাকিস্তানের নারী মুক্তির ক্ষেত্রে বেনজীরের প্রশংসা করতেও দ্বিধা করেননি মালালা।

এ ইফতার মাহফিলে জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। এ সময় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে এ মোমেনের পরিচয় জানার পরই তার কাছে আসেন মালালা। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর মালালা ইউসুফজাই তার আকুতি প্রকাশ করে বলেন, জঙ্গিরা বই আর কলমকে ভয় পায়। তাই বাংলাদেশে নারী শিক্ষার যে ব্যাপক কার্যক্রম চলছে তাকে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া অংশ তথা পাকিস্তানেও বিস্তৃত করতে বাংলাদেশকে আরো জোরদার ভূমিকা রাখতে হবে। মালালা পুনরায় উল্লেখ করেন, তালেবান জঙ্গিরা আমাকে মেরে সবকিছু স্তব্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। দুর্বলতা, ভয় আর আশাভঙ্গের দিন শেষ। শক্তি আর সাহস ছড়িয়ে পড়েছে গোটাবিশ্বে। বই আর কলম বদলে দিতে পারে এ পৃথিবীকে।

এ সময় ড. মোমেন তাকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান আগের দিন জাতিসংঘে তার প্রদত্ত ভাষণের জন্যে। যে ভাষণে প্রেরণা পেয়েছে গোটাবিশ্ব এবং অপসংস্কৃতি-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠার সাহস পাচ্ছে নবউদ্যমে। ড. মোমেনকে এ সময় জানানো হয় যে, মালালা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তা দিয়ে বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ সময় বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মালালা ফাউন্ডেশন স্কুল প্রতিষ্ঠার আগ্রহ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।



 

সর্বশেষ খবর