শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৩ ০০:০০ টা

বন্ধ হয়ে যেতে পারে \\\'ভারত-বাংলাদেশ\\\' পাশপোর্ট ব্যবস্থা

বন্ধ হয়ে যেতে পারে \\\'ভারত-বাংলাদেশ\\\' পাশপোর্ট ব্যবস্থা

আপাতত বন্ধ হয়ে যেতে পারে 'ভারত-বাংলাদেশ' পাশপোর্ট প্রদান ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্য সরকারই প্রধানত এই পাশপোর্ট প্রদান করে থাকে। কিন্তু দিনের পর দিন যেভাবে এই পাশপোর্ট বানানোর ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে তাতে যে কোন মূহুর্তেই এই ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

'ভারত-বাংলাদেশ' পাশপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে যেখানে দেড় হাজার রুপি খরচ করতে হয় সেখানে ঐ সমপরিমাণ রুপি দিয়েই 'আন্তর্জাতিক' পাশপোর্ট পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে 'ভারত-বাংলাদেশ' পাশপোর্ট-এর চেয়ে আন্তর্জাতিক পাশপোর্টেরই চাহিদা বেশি।

সাধারণত ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশে আত্মীয়স্বজন কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আছে এমন মানুষরাই ভারত-বাংলাদেশ পাশপোর্ট ব্যবহার করেন। কিন্তু বর্তমানে দুই ধরনের পাশপোর্ট ('ভারত-বাংলাদেশ' এবং 'আন্তর্জাতিক') তৈরির ক্ষেত্রে সমপরিমাণ অর্থ ব্যায় হওয়ার দরুণ আন্তর্জাতিক পাশপোর্ট তৈরিতে মানুষের আগ্রহ বেশি। এছাড়া আন্তর্জাতিক পাশপোর্ট দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্য দেশগুলিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু একজন 'ভারত-বাংলাদেশ' পাশপোর্ট ধারী ব্যক্তি এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।

পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র দফতরের (ভারত-বাংলাদেশ পাশপোর্ট প্রদানকারী দফতর) এক আধিকারিক জানান, আগে আমরা প্রতি মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ টি ভারত-বাংলাদেশ পাশপোর্ট প্রদান করতাম, কিন্তু বর্তমানে প্রতি মাসে তা নেমে এসে দাঁড়িয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ টিতে। তাঁর প্রশ্ন একই রুপি দিয়ে একজন ব্যক্তি আন্তর্জাতিক পাশপোর্ট তৈরি না করে কেন ভারত-বাংলাদেশ পাশপোর্ট তৈরি করবেন?

বাংলাদেশের সঙ্গে সীমানা আছে এমন রাজ্য গুলিকেই 'ভারত-বাংলাদেশ' পাশপোর্ট প্রদান করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে আছে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আছে অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও মিজোরাম। কিন্তু সামপ্রতিক কালে প্রতিটি রাজ্য থেকেই এই বিশেষ পাশপোর্ট তৈরির চাহিদা দিনকে দিন কমছে।

সাধারণত কোন ব্যক্তির থেকে 'ভারত-বাংলাদেশ' পাশপোর্টের আবেদনপত্র পাওয়ার পর রাজ্য সরকার সেটিকে পুলিশের কাছে অনুসন্ধানের জন্য পাঠায়। এরপর অনুসন্ধানের পর পুলিশের ছাড়পত্র পেলে তবেই রাজ্য সরকারের তরফে বাংলাদেশি পাশপোর্ট প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ খবর