সোমবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

মোদিকে ‘ভাগ্য বিধাতা’ আখ্যা দিলেন সাক্ষী মহারাজ

মোদিকে ‘ভাগ্য বিধাতা’ আখ্যা দিলেন  সাক্ষী মহারাজ


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘ভাগ্য বিধাতা’ আখ্যা দিলেন বিজেপি এমপি সাক্ষী মহারাজ। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি মোদিজীর সৈনিক, যদি মোদিজী আমার গর্দান চান, তাহলে আমি তার পায়ে গর্দান উৎসর্গ করতেও রাজি। আমার মনে হয়,  মোদি ভারতের ভাগ্য বিধাতা।’ নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘কখনো কখনো আমার মনে হয়,  মোদিজী কেবল ব্যক্তিই নন, সমস্ত ঐশ্বরিক শক্তির মধ্যে রয়েছেন তিনি। মোদি যা করছেন তা কোনো মানুষ করতে পারে না। আমিও তা করতে পারব না।’বেসরকারি একটি হিন্দি নিউজ চ্যানেল এ দেয়া সাক্ষাৎকারে সাক্ষী মহারাজ এসব মন্তব্য করেছেন।  
এর আগে বিজেপি এমপি সাক্ষী মহারাজ উত্তরপ্রদেশে একটি ধর্মীয় সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘আমি হিন্দু নারীদের আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন কমপক্ষে চার জন শিশুর জন্ম দেন।’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচী মধ্যপ্রদেশে একটি হিন্দু সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘একটি সন্তানে দেশ রক্ষা সম্ভব হবে না, এজন্য চার সন্তানের জন্ম দিতে হবে।’ তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের বিজেপি নেতা ও জেলা  কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্যামল গোস্বামী বলেছেন, ‘প্রত্যেক মা-বোন পাঁচটি করে সন্তানের জন্ম না দিলে হিন্দু ধর্ম লোপ পাবে। প্রত্যেক হিন্দুরই তাই উচিত পাঁচটি করে সন্তান জন্ম দেয়া।’এদের সবাইকে অবশ্য ছাড়িয়ে গিয়েছেন শঙ্করাচার্য বাসুদেবানন্দ সরস্বতী। তার মতে প্রত্যেক হিন্দু নারীর উচিৎ ১০টি করে সন্তানের জন্ম দেয়া।  তাহলেই  ফের ক্ষমতায় আসতে পারবেন নরেন্দ্র মোদি।  
 এলহাবাদের এক মেলায় বাসুদেবানন্দ সরস্বতী বলেছেন, ‘হিন্দুদের মধ্যে একতার কারণেই প্রধানমন্ত্রী হতে  পেরেছেন নরেন্দ্র মোদি। ক্ষমতায় থাকতে হলে প্রত্যেক হিন্দু পরিবার পিছু ১০টি করে সন্তানের জন্ম দিতে হবে।’  সাক্ষী মহারাজকে প্রশ্ন করা হয় দেশের মুসলমানদের কি আপনি হুমকি  বলে মনে করেন কি না? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্নে আমি একমত নই। স্বয়ং মোদিজী বলেছেন,  মুসলমানদের দেশপ্রেম নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। আমিও এটা স্বীকার করি হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে এদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।’   গত ২১ সেপ্টেম্বর বিজেপির এই এমপি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, 'মাদ্রাসায় সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। দল আমাকে এ বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছে। কিন্তু আমি ধর্ম রক্ষার জন্য রাজনীতিতে এসেছি।'ওই সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেছিলেন, ‘লাভ জিহাদের ষড়যন্ত্র চলছে এবং মুসলিমরা দেশবিরোধী কাজকর্ম করছে। এ সব কথা বলার জন্য দল যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় সেজন্য কোনো ভয় নেই।’  এখন অবশ্য ভোল বদলে সাক্ষী মহারাজের মুখে ভিন্ন সুর শোনা যাচ্ছে।
 

 

বিডি-প্রতিদিন / ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫ / নাবিল

সর্বশেষ খবর