শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারত

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারত

ভুমিকম্পে কেঁপে উঠল পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারত। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপালের পোখরা। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৭.৭। শনিবার দুপুর ভারতীয় সময় ১১.৪১ মিনিটে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। প্রায় ২ মিনিট স্থায়ী হয় কম্পনের তীব্রতা। প্রথম কম্পনের আধা ঘণ্টা পর ১২.২০ মিনটে ফের কম্পন (আফটার শক) অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের আতঙ্কে  সেসময় অনেকেই রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে চলে আসেন। কলকাতা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র বলে পরিচিত সল্টলেকের সেক্টর ফাইভেও অনেক বহুতল অফিস গুলি থেকে কর্মীরা আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে।

দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় মেট্রো চলাচল। পশ্চিমবঙ্গে দীঘার সমুদ্রের পানিও কয়েক ফুট ওপরে উঠে যায়। ভূমিকম্পের সময় সমুদ্র সৈকতের পাশে অবস্থিত প্রতিটি হোটেল থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন পর্যটকরা।

ভূমিকম্পের আঁচ পড়েছে ভোটগ্রহণেও। এদিনই পশ্চিমবঙ্গের ৯১ টি পৌরসভায় ভোট চলছে। কিন্তু ভূমিকম্পের ফলে বেশকিছুক্ষণ ভোটদান প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে। কম্পনের ফলে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে চলে আসেন প্রিসাইডিং অফিসারসহ ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী এবং ভোটাররা। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে।

ভূমিকম্পের ফলে মৎসজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, বিহার এবং সিকিমসহ উত্তরপূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্যেও। দিল্লিতেও মেট্রো পরিষেবা সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিহারের রাজধানী পাটনাতে মোবাইল পরিষেবা ব্যহত হয়েছে।

ভূমিকম্পের পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘নেপালে ভূমিকম্প হয়েছে খবর পাওয়া গেছে। ভারতের কয়েকটি অংশে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। নেপাল ও দেশের ভূমিকম্প প্রভাবিত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছে আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি’।
 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ এপ্রিল, ২০১৫/ রশিদা

সর্বশেষ খবর